—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোভিড কিংবা ডেঙ্গি, যে কোনও সংক্রমণেই প্রথম সারিতে থাকে উত্তর ২৪ পরগনা। ডেঙ্গির চলতি মরসুমের প্রথম দিকে না হলেও সময় যত গড়িয়েছে, তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ওই জেলা। শেষ চার সপ্তাহের পরিসংখ্যানের নিরিখে যে ১৬টি পুরসভা ‘অতি বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত হয়েছে, তার ১১টিই উত্তর ২৪ পরগনায়!
সম্প্রতি মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতর রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে শেষ চার সপ্তাহে (বছরের ৩৫, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম সপ্তাহ) সংক্রমণের ধারাবাহিকতা পর্যালোচনা করে ১৬টি পুরসভাকে (বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, হাওড়া, উত্তর দমদম, শ্রীরামপুর, বালি, বরাহনগর, কামারহাটি, বারাসত, অশোকনগর-কল্যাণগড়, নৈহাটি, উত্তরপাড়া, রাজপুর-সোনারপুর, ব্যারাকপুর, পানিহাটি, দমদম) ‘অতি বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচটি পুরসভায় ৩৮তম সপ্তাহে (২০ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী) আক্রান্ত বেড়েছে। বাকি ছ’টি পুরসভার কোনওটিতে সামান্য কমেছে বা প্রায় একই আছে। বাকি জেলাগুলির চারটি পুরসভাতেও আক্রান্ত বেড়েছে। শুধু একটিতে কমেছে।
৩৫ থেকে ৩৭তম সপ্তাহ পর্যন্ত বিধাননগরে সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ৩৮তম সপ্তাহে গিয়ে যা খানিকটা কমেছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়েছে। একই ভাবে দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, নৈহাটি, অশোকনগর-কল্যাণগড়, ব্যারাকপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে। সাপ্তাহিক হিসাবের নিরিখে পানিহাটি, দমদম, বরাহনগর, কামারহাটি ও বারাসতে আক্রান্ত বেড়েছে। জনস্বাস্থ্য কর্মী তথা চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেন, ‘‘যে সব জায়গায় নগরায়ণ বেশি হচ্ছে, সেখানে জল জমার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাতে মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পায়।’’ আবার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই জানাচ্ছেন, জনঘনত্ব ও জনসংখ্যার দিক থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার তুলনায় উত্তর ২৪ পরগনা এগিয়ে। তাই ওই জেলায় কমিউনিকেবল বা ভেক্টর বোর্ন ডিজ়িজ় ছড়ানোর প্রবণতাও বেশি ।
তিনি বলেন, ‘‘কলকাতায় এই সমস্ত রোগ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণের যে পরিকাঠামো রয়েছে, তা সব জেলায় থাকে না। ফলে ডেঙ্গির মতো পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের রূপরেখা স্থির করার সময়ে এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাতে সংশ্লিষ্ট জেলা বা পুরসভার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন।’’ মুখ্যসচিবের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি পুরসভাকে প্রতিদিন রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন অন্তত ৫০টি বাড়ি পরিদর্শন করবেন। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত নির্মীয়মাণ বাড়ি ও বহুতলের ছবি গুগল ফর্মে আপলোড করতে হবে।
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি মিলিয়ে বেসরকারি মালিকানার বিপজ্জনক জায়গা চিহ্নিত হয়েছে ৪২ হাজার ৬০টি। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জায়গা চিহ্নিত করে নোটিস পাঠানো হচ্ছে। কোথাও দু’বার নোটিশ যাচ্ছে। তার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy