উদ্ধার হওয়া ট্রলার। নিজস্ব চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন ১০ মৎস্যজীবী। দিনভর তল্লাশির পর বুধবার রাতে উদ্ধার হয়েছে ৯ মৎস্যজীবীর দেহ। এখনও নিখোঁজ এক জন।
ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নিয়ে বুধবার রাতেই উদ্ধার করে আনা হয়েছিল পাতিবুনিয়া ঘাটে। ট্রলার থেকে জল খালি করার পর কেবিনের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ মৎস্যজীবীদের দেহ। তবে এখনও নিখোঁজ নামখানার হরিপুরের বাসিন্দা অনাদি শাসমল নামে এক মৎস্যজীবী। বৃহস্পতিবার দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হবে কাকদ্বীপ হাসপাতালের মর্গে। তার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের লোকজনদের হাতে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সমুদ্রে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের লোকেদের আর্থিক অনুদানের কথা বুধবার রাতেই ঘোষণা করেছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা বলেছেন তিনি। এ নিয়ে বঙ্কিম বলেছেন, ‘‘ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি সৎকারের জন্য ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মৃত মৎস্যজীবীদের আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সেই টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।’’
বুধবার ভোরে বকখালি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে রক্তেশ্বরী চরের কাছে ঢেউয়ের দাপটে উল্টে যায় এফবি হৈমবতী নামের ওই ট্রলারটি। নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার দশমাইল ঘাট থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে ইলিশ ধরতে সমুদ্রে রওনা দিয়েছিল ওই ট্রলারটি। সমুদ্রে কয়েক দিন মাছ ধরার পর ফিরে আসছিল ট্রলারটি। বুধবার ভোরে ট্রলারের কেবিনে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সকলে। বাকি দু’জন ছিলেন ট্রলারের বাইরে। বঙ্গোপসাগরে রক্তেশ্বরী চরের কাছে ঢেউয়ের দাপটে আচমকাই বিপত্তি ঘটে। ট্রলারে মোট ১২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি ১০ জন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের দেহ উদ্ধার হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy