মথুরাপুরের একটি স্কুলে পড়ে আছে ভাঙা বেঞ্চ। —নিজস্ব চিত্র।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্র হয়েছিল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাই স্কুলে। শনিবার ভোটপর্ব মেটার পর সোমবার থেকে চালু হয়েছে স্কুল। যে সব কেন্দ্রে ফের ভোট হয়েছিল, সেখানে মঙ্গলবার থেকে ক্লাস চালু হয়েছে। অভিযোগ, এখনও দক্ষিণের বহু স্কুলের হাল ফেরেনি। অনেক জায়গায় গোলমালের জেরে নষ্ট হয়েছে স্কুলের বেঞ্চ, টেবিল। কোথাও কোথাও স্কুলের দরজা, জানলাও ভেঙে গিয়েছে।
বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ প্রাথমিক স্কুল, জ্যোতিষপুর রাধারানিপুর প্রাথমিক স্কুলে এখনও চেয়ার, বেঞ্চ ভেঙে পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসন্তীর একটি স্কুলের শিক্ষক বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে ভোটের দিন গোলমাল হয়েছিল। ক্লাস নিতে এসে দেখি, শিক্ষকদের চেয়ার, পড়ুয়াদের বেঞ্চ অনেকগুলিই ভেঙে পড়ে রয়েছে। কোনও ক্লাসে ব্ল্যাকবোর্ডও ভেঙে রয়েছে। এখনও সারানো হয়নি। বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে।’’ বাসন্তীর বিডিও সৌগতকুমার সাহা বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে সমস্যা হয়েছে, দ্রুত সমাধান করা হবে।’’
রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকের বেশ কিছু স্কুলে ভেঙে পড়ে রয়েছে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ। ওই এলাকার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা জানান, কোনও স্কুলে নতুন চুনকাম করা দেওয়াল পান, গুটখার পিকে নোংরা হয়ে গিয়েছে। কোনও শ্রেণিকক্ষে সুইচ বোর্ড ভেঙে গিয়েছে। ব্ল্যাক বোর্ডের উপরে আঠা দিয়ে নোটিশ সাঁটানোয় সেখানে চকের দাগ পড়ছে না। সারা স্কুল চত্বর জুড়ে জমে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ।
রায়দিঘির মথুরপুর ২ ব্লকের পূর্ব এবং দক্ষিণ চক্রের বিভিন্ন স্কুলেরও একই হাল। এই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানে সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন তাঁরা। যদিও এখনও কোনও কাজ হয়নি। এই এলাকার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘ আমরাও অন্য স্কুলে ভোটের কাজে গিয়েছিলাম। সেখানে এ ভাবে স্কুল নোংরা করে আসিনি। যাঁরা ভোটের ডিউটিতে আসেন, তাঁরা সকলেই শিক্ষিত মানুষ। তাঁদের কাছে এটা প্রত্যাশিত নয়।’’ ওই চক্রের স্কুল শিক্ষকেরা জানান, তাঁরা নিজেদের উদ্যোগেই স্কুল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন।
রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকের দক্ষিণ চক্রের স্কুল পরিদর্শক স্নেহজিৎ দে বলেন, ‘‘ভোটকেন্দ্রের বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। ব্লক প্রশাসন জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy