উত্তেজিত: হাজির জনতা
ত্রাণের দাবিতে ও ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শনিবার ক্যানিং ১ ব্লক দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন মাতলা ১, মাতলা ২, নিকারিঘাটা, দিঘিরপাড়-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের হাজারখানেক মানুষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের পরে দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও এলাকার প্রকৃত দুর্গত মানুষ একটা ত্রিপলও পাননি। যাঁদের ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, তাঁরাও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। উল্টে যাঁদের সে ভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকা, সরকারি সাহায্য, সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে বিকাশ মজুমদার, কল্পনা সাহানিরা বলেন, “আমপানের পরে ষোলো দিন কেটে গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এলাকার মানুষ সরকারের তরফে একটা ত্রিপল, দু’মুঠো খাবার পাননি। যাদের ঘরে সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা রাজ্য সরকারের ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাচ্ছেন। আর যাঁদের ঘর একেবারে ভেঙে গিয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে।’’
শারীরিক দূরত্বের বিধিনিষেধকে শিকেয় তুলে সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে’র অফিসের সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ ও ধর্না। বিডিওর অপসারণ চেয়ে স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে ক্যানিং থানার পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় বিডিও চত্বরে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে এলাকার বেশ কিছু জনপ্রতিনিধিও চলে আসেন সেখানে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভের পরে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিডিও। সমস্ত দুর্গত যাতে সরকারি ত্রাণ সাহায্য পান, সে বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অফিস থেকে বাইরে বেরিয়েয়ে বিডিও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে ত্রাণ বিতরণের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। বিডিও বলেন, “সরকারি ভাবে যে ত্রাণ এসেছিল, তা সমান ভাবে সমস্ত গ্রাম সংসদেই ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবুও বহু মানুষ যারা এই সাহায্য পাননি। আগামী দিনে ত্রাণ সামগ্রী এলে তাঁদের গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই সেই ত্রাণ দেওয়া হবে। যাঁরা ত্রাণ পাননি, তাঁদের নিজ নিজ পঞ্চায়েত অফিসে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy