ফের শুরু হল গ্যারাজ। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
ট্রেন বন্ধ থাকায়, স্টেশন সংলগ্ন সাইকেল-মোটরবাইক রাখার গ্যারাজগুলি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বহু মানুষের। ট্রেন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশন সংলগ্ন এই সব গ্যারাজগুলি খুলতে শুরু করেছে। ট্রেন চালু হওয়ায় ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে স্টেশন সংলগ্ন চায়ের দোকান, অন্যান্য দোকানগুলিও।
দুই জেলার প্রায় প্রতিটি রেল স্টেশনের কাছেই একাধিক সাইকেল-মোটরবাইক রাখার গ্যারাজ আছে। নিত্যযাত্রীরা বাড়ি থেকে সাইকেল বা বাইকে এসে এই সব গ্যারাজে সেগুলি রেখে স্টেশন থেকে ট্রেন ধরেন। বনগাঁ স্টেশন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল-বাইক রাখার গ্যারাজ চালান নারায়ণ চন্দ্র সাহা। নিত্যযাত্রীরা নাড়ুদার গ্যারাজ নামেই চেনেন। নারায়ণ জানান, ট্রেন বন্ধ থাকায় কয়েক মাস রুজি রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বুধবার ট্রেন চালু হওয়ার দিন থেকে তিনি আবার গ্যারাজ খুলেছেন। যাত্রীরাও আবার সাইকেল রাখতে শুরু করেছেন। তবে আগের তুলনায় সাইকেলের সংখ্যা কম এখন। নারায়ণ বলেন, “ট্রেন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও সময় লাগবে। বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন, এমন অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। ফলে তাঁরা আর সাইকেল রাখতে আসছেন না।” বনগাঁর অন্য এক গ্যারাজ মালিক বলরাম ঘোষের কথায়, “ট্রেন বন্ধ থাকায় গ্যারাজ বন্ধ ছিল। সংসার চালাতে বিস্কুট, চানাচুর বিক্রি করেছি। ট্রেন চালু হওয়াতে আবারও গ্যারাজ খুলেছি।”
টাকি স্টেশনের পাশেই নিজের বাড়িতে গ্যারাজ চালাতেন মনিকা দাস। তাঁর স্বামী অসুস্থ। গ্যারাজ থেকে পাওয়া অর্থেই সংসার চলত। ফলে এই ক’মাস খুবই সমস্যায় পরেছিলেন। ট্রেন চালু হওয়ায় ফের চালু হয়েছে তাঁর গ্যারাজও। মনিকা বলেন, “উপার্জন একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার শুরু হয়েছে। কিন্তু আগে যত সাইকেল-বাইক থাকত, এখন তত আসছে না। অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। সব ট্রেন চালুও হয়নি। ধীরে ধীরে আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।” ক্যানিং, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার স্টেশন সংলগ্ন সাইকেল-বাইক রাখার গ্যারাজগুলিও খুলতে শুরু করেছে। হাসি ফুটেছে গ্যারাজ মালিক, কর্মীদের মুখে।
গ্যারাজ মালিকদের পাশাপাশি হাসি ফুটেছে স্টেশন সংলগ্ন চায়ের দোকান, অন্য ব্যবসায়ীদের মুখেও। আপাতত ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মে হকার ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
তবে ট্রেন না চলায় স্টেশনের আশেপাশের দোকানগুলির অধিকাংশই এতদিন বন্ধ ছিল। কিছু দোকান খুললেও ক্রেতার দেখা পাওয়া যেত না। এ বার সেই দোকানগুলিতে লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। টাকি স্টেশনের পাশেই চায়ের দোকান রয়েছে মানিক অধিকারির। ট্রেন চালু হওয়ার পর তাঁর দোকানে বিক্রি আগের থেকে বেড়েছে বলে জানান মানিক। একই ছবি দুই জেলার অন্য স্টেশনগুলিতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy