Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ
Wheat

দেড় মাসে ১৫০০ ট্রাকে গম রফতানি বাংলাদেশে

খাদ্য দফতরের বারাসত ডিভিশনের ইন্সপেক্টর স্বপনকুমার সাহা বলেন, ‘‘জেলাশাসকের নির্দেশে আপাতত আটক হওয়া গমের বস্তা বেড়াচাঁপা, বনগাঁ, দমদম এবং দত্তপুকুর এলাকার মিলের গুদামে রাখা হবে।

ঘোজাডাঙায় আটক লরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গুদামে। ছবি: নির্মল বসু

ঘোজাডাঙায় আটক লরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গুদামে। ছবি: নির্মল বসু

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৩:১৮
Share: Save:

দেড় মাস ধরে অন্তত দেড় হাজার গমবোঝাই ট্রাক ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রফতানি হয়েছে বলে জানাল শুল্ক দফতর। ওই সব ট্রাকেও গমের বস্তার উপরে বিভিন্ন রাজ্যের খাদ্য দফতরের ছাপ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে বেশ কিছু ট্রাক ভর্তি গম আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় শুল্ক দফতর। প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার গম ছিল বলে দফতর জানিয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশে আটক ট্রাকগুলিতে থাকা বস্তা ভর্তি গম শনিবার ঘোজাডাঙা পার্কিং থেকে সরিয়ে বিভিন্ন মিলের গুদামে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সকাল থেকে পুলিশ এবং খাদ্য দফতরের একটি দল যৌথ ভাবে গম মিলের গুদামে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
খাদ্য দফতরের বারাসত ডিভিশনের ইন্সপেক্টর স্বপনকুমার সাহা বলেন, ‘‘জেলাশাসকের নির্দেশে আপাতত আটক হওয়া গমের বস্তা বেড়াচাঁপা, বনগাঁ, দমদম এবং দত্তপুকুর এলাকার মিলের গুদামে রাখা হবে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ এ দিন ঘোজাডাঙা সীমান্ত শুল্ক দফতরের ডেপুটি কমিশনার প্রশান্ত গিরি বলেন, ‘‘গত দেড় মাস ধরে এমন দেড় হাজারের মতো ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছে। গত শুক্রবার গোয়েন্দা দফতর থেকে আমাদের কাছে খবর আসে যে, গণবন্টনের গম বাংলাদেশে যাচ্ছে। পরীক্ষা করতে গিয়ে তা ধরা পড়ে। গম ফেলে দিয়ে বস্তা সোজা করতেই তার উপর পঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, ওডিশা এমনকী পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের খাদ্য দফতরের ছাপ পাওয়া যায়। এ সব দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে জানানো হয়।’’
এ বিষয়ে ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কান্তি দত্ত বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের খোলা বাজার থেকে গম কেনেন। এরপরে বাজার থেকে খালি বস্তা কিনে সেই গম ভর্তি করে রফতানি করা হচ্ছিল। বস্তার গায়ে এফসিআই লেখা থাকলেই যে সেটা গণবন্টন ব্যবস্থার গমের বস্তা হবে, তা ঠিক নয়। স্কুল বা রেশনে যে সব গণবন্টন ব্যবস্থার চাল-গম আসে, সেই সব খালি বস্তা বাজারে বিক্রি হয়।’’
তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীরা যাঁদের কাছ থেকে গম কিনেছিলেন, তাঁরা বাজার থেকে ওই বস্তা কিনে তাতে গম ভরেছিল। কান্তি বলেন, ‘‘এ সব বলা সত্ত্বেও শুল্ক দফতর থেকে গম রফতানি বন্ধ করায় ব্যবসায়ী এবং অ্যাসোসিয়েশনকে বড় রকম ক্ষতির মুখে পড়তে হল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Wheat Export Bangladesh India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy