ফাইল চিত্র।
বারাসত সদর হাসপাতালের পরে এ বার নবপল্লি। শুক্রবার ফের পাড়ার রাস্তার উপরে পড়ে থাকা পিপিই-কিট ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। হইচই শুরু হওয়ার পরেও দীর্ঘক্ষণ ধরে কিটগুলি রাস্তায় পড়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত পুরসভার সাফাইকর্মীদের দিয়ে তা তোলানো হয়। কাছাকাছি একটি নমুনা পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের অনুমান, সেখান থেকে কিটগুলি ফেলা হয়ে থাকতে পারে।
উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমিতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মতে তার অন্যতম কারণ সচেতনতার অভাব। এর আগে বারাসত সদর হাসপাতালের ভিতরেই ব্যবহৃত পিপিই-কিট পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তার পরে ফের এ দিন নবপল্লির ঘটনা।
এ দিন সকালে নবপল্লি সার্কুলার রোডের উপরে তিনটি পিপিই কিট পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। কিটগুলি ব্যবহৃত বলেই জানান তাঁরা। পাড়ার বাসিন্দারা সকালেই কাছাকাছি কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিষয়টি জানান। অভিযোগ, তার পরেও ওই কিটগুলি তোলা হয়নি। বেলা গড়াতে থাকায় আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতে পদক্ষেপ করে বারাসত পুরসভা।
পুরসভার সাফাইকর্মীরা সুরক্ষা সরঞ্জাম পরে রাস্তা থেকে কিটগুলি তুলে নিয়ে যান। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য চম্পক দাস অবশ্য সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন কাছের ল্যাবটিকেই। তাঁর মতে, পরীক্ষা কেন্দ্রটিতে অনেক ধরনের রোগী আসেন। সেখানকার টেকনিশিয়ানেরা পিপিই-কিট পরেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। ফলে সেখানকার ব্যবহৃত পিপিই-কিট কোনও ভাবে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হতে পারে। বিষয়টি বিশদে খোঁজ নিয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান চম্পক। তবে ওই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেই পিপিই-কিটগুলি ফেলা হয়েছে, না কি অন্য কেউ সেগুলি সেখানে ফেলে গিয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy