ফাইল চিত্র।
পুজোর দিনগুলিতেও করোনা সংক্রমণের নিরিখে এগিয়ে রইল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। পুজো মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় তার তোয়াক্কা না করেই রাস্তায় বেরিয়ে ভিড় ও জটলা করতে দেখা গিয়েছে লোকজনকে। কলকাতার উত্তর শহরতলির দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, বামনগাছি, দত্তপুকুর এলাকায় দশমীর দিনে প্রতিমা বরণ এবং বিসর্জনের সময়েও দূরত্ব-বিধি না মেনে, মাস্ক না পরেই ভিড় করেন এলাকার মানুষ।
সোমবার দত্তপুকুর এলাকার একটি ক্লাবের পুজোর বিসর্জনে দেখা গেল, স্থানীয় মহিলারা এবং পুরুষেরা অধিকাংশই মাস্ক পরেননি। কারণ জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় বাসিন্দা সোমা কর বলেন, ‘‘মাস্ক পরলে উলু দেওয়া যায় না। সে কারণেই মাস্ক পরিনি।’’ এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বিসর্জনের সময়ে জোরে মাইক বাজিয়ে জমায়েত করতেও দেখা যায়।
এ দিন জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পুজোর দিনগুলোয় দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ছিল প্রায় ১০০০ জন করে। আগের তুলনায় পুজোর দিনগুলিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। এই পরিস্থিতি নিয়ে আগেভাগেই সতর্ক করেছিল রাজ্যের চিকিৎসক মহল। তা সত্ত্বেও মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতে না পেরে মণ্ডপের বাইরে এবং রাস্তায় বিনা মাস্কে জটলা করতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকেই। সে কারণেই সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে বলে মত স্বাস্থ্য দফতরের।
যদিও এ দিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, ‘‘লাগাতার প্রচারের কারণে মানুষ তেমন ভাবে বেরোননি। ঘরেই ছিলেন। সেই কারণে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখা গিয়েছে। মানুষ সচেতনও হয়েছেন।’’
সংক্রমণ ঠেকাতে পুজোর দিনগুলোয় বহু জায়গায় পুলিশি নজরদারি ছিল। মাস্ক না পরা ও বিধি ভঙ্গের কারণে কয়েক জনকে আটকও করা হয়েছে বলে জানান বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘মাস্ক না পরে বাইরে বেরোলে, নিয়ম না মানলে ধরপাকড় চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy