প্রতীকী ছবি
বসিরহাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়াল। স্বাস্থ্য কর্তারা জানান, এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৮৮। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। ৪৩৬০ জন সুস্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্তা ও চিকিৎসকদের মতে, পুজোর কেনাকাটা শুরু হওয়ার পরেই সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, পুজোর দিনগুলিতে সাবধানে না থাকলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
শহরের পাশাপাশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে গ্রামাঞ্চলেও। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট ১ ব্লকে ৪৩৩, বসিরহাট ২ ব্লকে ৫২০, বাদুড়িয়ায় ৪১৪, স্বরূপনগরে ৬৩৬, হাড়োয়ায় ২৪২, মিনাখাঁয় ২৭১, হিঙ্গলগঞ্জে ৩৫৮, হাসনাবাদে ৪৯৭, সন্দেশখালি ১ ব্লকে ১৪৩ এবং সন্দেশখালি ২ ব্লকে ৪৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার শ্যামল হালদার বলেন, “প্রতিদিন অন্তত ৪০-৪৫ জনের লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০ শতাংশ বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।” পুজোর পরে এই বৃদ্ধির হার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করনে সুপার। এই পরিস্থিতিতে ভরসা বলতে বসিরহাটের গোপালপুরে একটিমাত্র ৩০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল। পুজোর পরে যদি সংক্রমণ আরও বাড়ে, তখন চিকিৎসা পরিষেবার কী হবে, তা ভেবে চিন্তিত চিকিৎসকদের বড় অংশ।
এই অবস্থায় শতাধিক শয্যার হাসপাতালের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বসিরহাট জেলা হাসপাতাল অথবা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিবর্তন করার দাবি নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দলের পক্ষে স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিজেপির বসিরহাট জেলা সম্পাদক তারক ঘোষ, কংগ্রেসের জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি অমিত মজুমদার এবং সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শ্রীদীপ রায়চৌধুরীরা বলেন, “বসিরহাট জেলা এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল মিলিয়ে ছ’শোর উপরে শয্যা আছে। সেখান থেকে দু’তিনশো বেড নিয়ে অবিলম্বে একটা কোভিড হাসপাতাল করা জরুরি।” বসিরহাটের তৃণমূল বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, “সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপরের দু’টো তলা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কোভিড হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy