প্রশাসনের নির্দেশে তালা লাগানো হচ্ছে এএসএ-র অফিস রুমে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
অশোকনগর বিধানচন্দ্র রায় ক্রীড়াঙ্গনের মধ্যে থাকা অশোকনগর স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের (এএসএ) অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বুধবার বারাসতের মহকুমা শাসক সোমা দে, অশোকনগর-কল্যাণগড়ের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার-সহ প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতিতে এএসএ অফিসে তালা দেওয়া হয়। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে অশোকনগরের ক্রীড়া ও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ক্রীড়া সংগঠক কার্তিক ইন্দু বলেন, “এএসএ সরকারের কাছে থেকে ৯৯ বছরের লিজ় নিয়ে স্টেডিয়াম, মাঠ এবং খেলাধুলা পরিচালনা করে আসছে। সরকারকে খাজনাও দেওয়া হয়। এক প্রকার জোর করেই স্টেডিয়াম দখল করে নেওয়া হল। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।” এএসএ-এর আজীবন সদস্য স্বপন গুপ্ত বলেন, “এএসএ-এর অফিসে প্রশাসন তালা লাগিয়ে দিল! ভাবা যায় না। কোনও ভাবে যখন প্রশাসন দখল নিতে পারল না, তখন তালা দিল।” এএসএ-এর সাধারণ সম্পাদক বিরাজ ঘোষ বলেন, “পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে বৃহস্পতিবার আমরা বৈঠকে বসছি।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এএসএ-এর হাত থেকে স্টেডিয়ামের দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে পুরসভা স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সেই মতো পুরসভা স্টেডিয়ামটি নিজেদের অধীনে নিয়েও নিয়েছে। এখন থেকে স্টেডিয়ামে কোনও অনুষ্ঠান বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হলে পুরসভা থেকে অনুমতি নিতে হবে। দিন কয়েক আগে পুরসভা থেকে অনুমতি নিয়ে একটি ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্টেডিয়ামের কাজ দেখভালের জন্য মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে পুরপ্রধানকে।
এএসএ কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, তাঁরা প্রায় ৭২ বছর ধরে মাঠ এবং পরবর্তী সময়ে স্টেডিয়ামটি তৈরির পর থেকে তা রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন। স্টেডিয়ামে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল-সহ বছরে ১২-১৪টি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এএসএ। স্টেডিয়ামের মধ্যে এএসএ-এর অফিসও আছে। সেখানে প্রচুর মালপত্র, ক্রীড়া সরঞ্জাম আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অফিস ঘর খালি করতে বলা হয়েছিল। এএসএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, এত মালপত্র অন্যত্র রাখার মতো পরিকাঠামো তাদের নেই। পরবর্তীতে অফিস ঘরের চাবি হস্তান্তর করতে বলা হলেও এএসএ কর্তৃপক্ষ তা করেননি বলে অভিযোগ।
প্রবোধ বলেন, “এসএসএ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলেও চাবি দেননি। বুধবার স্টেডিয়ামে বৈঠক হয়। সেখানেও ঘরের চাবি চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা দিতে অস্বীকার করায় তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” প্রবোধের কথায়, “আমরা চেষ্টা করব স্টেডিয়ামের সংস্কার করতে। কলকাতা ফুটবল লিগের ম্যাচ করার চেষ্টা হবে। এসএসএ কর্তৃপক্ষ স্টেডিয়াম বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দিতেন অনেক বেশি টাকায়। আমরা তা কমিয়ে দিয়েছি। আয়ের টাকা স্টেডিয়াম সংস্কার ও খেলাধুলোর জন্য ব্যয় করা হবে।”
অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের সত্যসবী কর বলেন, “স্টেডিয়াম ও এসএসএ দখল করার উগ্র বাসনা থেকে তৃণমূল ও প্রশাসন অফিসে তালা দিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy