প্রতীকী চিত্র। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
ফের কি ফিরছে আতঙ্কের দিন?
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ, গত কয়েক দিন ধরে নৈহাটি, হালিশহর, বীজপুর, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে বোমাবাজি। চলছে নেতা-নেত্রীদের বাড়িতে ভাঙচুরও।
লোকসভা ভোটের পরে শিল্পাঞ্চলে বিজেপির উত্থানের পরে এলাকায় শাসক দলের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পরিবেশ ঘনিয়ে আসে। বর্তমানে শিল্পাঞ্চলে বিজেপি অবশ্য কিছুটা কোণঠাসা। হৃত সাম্রাজ্য অনেকটাই শাসক দলের দখলে। তবু এরই মধ্যে ফের শুরু হয়েছে বোমাবাজি। গত শুক্রবার রাত থেকে প্রায় প্রতি দিনই বোমাবাজি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত মানুষ।
লোকসভা ভোটের আগেও শিল্পাঞ্চলের কিছু এলাকায় গোলমাল নিয়মিতই হত। কিন্তু ভোটের পরে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। বোমা-গুলি আর তাণ্ডব চলে টানা তিন মাস। দোকান-বাজার বন্ধ ছিল প্রায় পুরো সময়টা জুড়ে। দু’মাস বন্ধ ছিল স্কুলের পঠনপাঠন। দুর্গাপুজোর আগে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তার আগে অবশ্য গোলমালের জেরে প্রাণ যায় ৫ জনের।
গত কয়েক দিন ধরে ফের শুরু হয়েছে বোমাবাজি। শুক্রবার রাতে ভাটপাড়া এবং নৈহাটির কয়েকটি এলাকায় বোমাবাজি হয়। তারপর দিন থেকে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয়ে বোমাবাজি। শনিবার রাতে ভাটপাড়ার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্পনা লাহিড়ির ভাইয়ের বাড়িতে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। হারু মল্লিক নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে দিন রাতেই হালিশহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুনীতা বিশ্বাসের বাড়িতে ভাঙচুর হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়।
গোলমাল-বোমাবাজি অব্যাহত ছিল সোমবারও। রাতে নৈহাটির ৬ নম্বর বিজয়নগর এলাকায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সনৎ দে-র দলীয় কার্যালয়ের সামনে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। ওই রাতেই নৈহাটিরই মামুদপুর এলাকার তৃণমূল নেতা সুভাষ ঘোষের বাড়ির দরজায় পর পর দু’টি বোমা পড়ে। বীজপুরে পলাশি দেবনাথ পাড়ায় বিজেপির একটি পার্টি অফিস থেকে দলের পতাকা-ফেস্টুন বের করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতেও বোমাবাজি হয় ভাটপাড়ায়। সন্দীপ চক্রবর্তী নামে বিজেপির এক কর্মীর বাড়ির জানলায় দু’টি বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। একটি বোমায় জানালার কাচ ভেঙে যায়। পরের বোমাটি জানলা গলে ভিতরে ঢুকে যায়। সেটি অবশ্য ফাটেনি। সন্দীপ জানান, ওই ঘরেই ছিলেন তাঁর বৃদ্ধা মা।
বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলই এখন তাদের নেতা-কর্মীদের নিজেদের শিবিরে টানার জন্য গোলমাল শুরু করেছে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘বিজেপি আমাদের লোকেদের ভয় দেখিয়ে দলে টেনেছিল। ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা আমাদের দলেই ফিরছেন। তাঁদের ভয় দেখাতেই বিজেপি বোমাবাজি করছে।’’ ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy