Advertisement
E-Paper

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

স্থানীয় বাসিন্দা স্মৃতি গায়েনের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের অনেকেই মাটি কাটার টাকা পাননি। একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হয়নি।

প্রতিবাদ: পুলিশের কাছে ক্ষোভ জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: পুলিশের কাছে ক্ষোভ জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৮
Share
Save

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত অফিসে এসেছেন জানতে পেরে গ্রামের মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন নিজেদের অভাব অভিযোগ, সমস্যার কথা জানাতে। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে দেননি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা ব্লকের কোনিয়াড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে।

স্থানীয় বাসিন্দা স্মৃতি গায়েনের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের অনেকেই মাটি কাটার টাকা পাননি। একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হয়নি। দোতলা বাড়ির মালিকদের আবাস যোজনার তালিকায় নাম আছে। অথচ গরিব মানুষদের নাম তালিকা থেকে কাটা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় প্রতিনধিদের জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন আমাদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দিয়েছে।’’

পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের অনামিকা বিশ্বাস অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের ডাকা হয়েছিল। তাঁরা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথাও বলেছেন। পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। বিরোধীরা তো অভিযোগ করবেই।’’ যদিও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপির সরস্বতী বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েতের কোনও কাজের বিষয়ে আমাকে জানানো হয় না। প্যাডে আমার নামটা পর্যন্ত রাখা হয় না। হর্টিকালচারে কলা গাছ লাগানোর জন্য উপভোক্তাদের যত টাকা পাওয়ার কথা ছিল, সেই টাকা পাননি। এখানে এরকম একাধিক দুর্নীতি হয়েছে। প্রতিনিধি দলকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্তী সাঁতরা বলেন, ‘‘উপপ্রধান মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। এদিন জব কার্ডধারী ৫ জন, বৃদ্ধ ভাতার ক’জন উপভোক্তা, শারীরিক প্রতিবন্ধী কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাদের ডাকা হয়েছিল। তাঁরা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাকিদের সঙ্গে ওঁরাই কথা বলতে চাননি।’’

এ দিন প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা পঞ্চায়েত অফিসে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা কোনিয়াড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বালিদাপুকুর গ্রামে আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজ পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পঞ্চায়েত কর্মীদের। এক বছর আগে নির্মিত একটি ঢালাই রাস্তার ভগ্নদশার কারণ নিয়েও প্রশ্ন করেন নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা।

প্রতিনিধি দলের সদস্য আর কে রায় বলেন, ‘‘পরিদর্শন করেছি। সমস্ত বিষয় নিয়ে গোপন রিপোর্ট জমা দেব। অসঙ্গতির বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করা যাবে না।’’

Bagda TMC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}