দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
ট্রেনের নীচে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক যুবক। গত ১১ এপ্রিলের ওই ঘটনায় তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হল একটি বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত ১৮ এপ্রিল ওই অভিযোগ দায়ের করেছে দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য নামে (২৪) ওই যুবকের পরিবার।
ঋণের চার কিস্তির টাকা শোধ করতে না পারায় দেবজ্যোতির গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের এমন কাজের জন্যই অপমানে দেবজ্যোতি সোদপুরে ট্রেনের নীচে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতে পানিহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাঞ্চল এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃ্তের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ওই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ‘গতিধারা’ প্রকল্পে একটি গাড়ি কিনেছিলেন দেবজ্যোতি। প্রথম দিকে তিনি প্রতি মাসে গাড়ির ঋণের কিস্তি জমা দিতেন। কিন্তু লকডাউনে ঠিক মতো টাকা দিতে পারেননি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি ফের কিস্তির টাকা প্রতি মাসে দিতে থাকেন। তবে, মাঝের চার মাসের কিস্তি বকেয়া থেকে যায়। কিস্তি বকেয়া থাকায় দেবজ্যোতি তাঁর গাড়িটি আর বার করতেন না। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রতি মাসে সংস্থার পক্ষ থেকে এক এজেন্ট কিস্তির টাকা নিতে আসতেন। তিনিই সম্প্রতি দেবজ্যোতিকে গাড়িটি বার করার পরামর্শ দেন। সেই মতো গত ১১ এপ্রিল দেবজ্যোতি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ঘোলার মুড়াগাছা পেট্রল পাম্পে তেল নিতে ঢোকেন। সেই সময়েই ওই সংস্থার কর্মীরা তাঁর কাছ থেকে গাড়ি ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, তাঁরা দেবজ্যোতির সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। পরিবারের দাবি, ওই ঘটনার পরেই মানসিক ভাবে দেবজ্যোতি ভেঙে পড়েছিলেন। পরে সোদপুর স্টেশনের কাছে ট্রেনের নীচে আত্মঘাতী হন তিনি।
মৃতের বাবা বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘লকডাউনের কারণে আমরা চারটি কিস্তির টাকা দিতে পারিনি। তার পরে ফের কিস্তি মেটাতে শুরু করি। ওই সংস্থার এক কর্মীর কথা শুনে আমার ছেলে গাড়ি বার করেছিল। সেটাই কাল হল। সকলের সামনে ওকে অপমান করে জোর করে গাড়িটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই অপমান ছেলে সহ্য করতে পারল না। ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy