—প্রতীকী চিত্র।
পণের টাকা না পেয়ে বধূকে মারধর করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের বড়গাছিয়া গ্রামে। সাইফুদ্দিন মণ্ডল, আলফাজউদ্দিন মণ্ডল সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছে তরুণীর পরিবার। অভিযুক্তেরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে দত্তপুকুর থানার বিড়া জয়পুল দোগাছিয়া গ্রামের মেয়ে রুবিনা পরভিনের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বড়গাছিয়া গ্রামের সাইফুদ্দিন মণ্ডলের। পেশায় দর্জি সাইফুদ্দিনের পরিবার লাগাতার পণের দাবিতে অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। রুবিনার সাড়ে তিন বছরের ছেলে আছে। তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, বিয়ের সময়ে পাত্রপক্ষের দাবি মেনে সোনার গয়না, নগদ টাকা দিয়েছিলেন রুবিনার বাবা আব্দুল ওহিদ। সম্প্রতি ২ লক্ষ টাকা দাবি করে রুবিনার স্বামী-শাশুড়িরা। অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় নির্যাতন শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার ফের বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য রুবিনার উপরে চাপ দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযোগ, রুবিনা সে কথায় রাজি না হওয়ায় স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর সহ কয়েক জন তরুণীকে মারধর করে। বেহুঁশ হয়ে পড়েন রুবিনা। তাঁকে বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিনই বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে সেখানে মারা যান তরুণী।
রুবিনার ভাই মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘বোনের এক প্রতিবেশী ফোনে আমাদের জানান, সে গলায় দড়ি দিয়েছে। বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা হাসপাতালে গেলে শ্বশুরবাড়ির কাউকে দেখা পাইনি। ভর্তি করে পালিয়ে যায় ওরা। বোনের শরীরে কালশিটে দাগ দেখেছি আমরা। ওকে মেরে গলায় দড়ি বেঁধে পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছিল।’’ ওহিদ বলেন, ‘‘আমি গরিব মানুষ। চাষবাস করে কোনও রকমের সংসার চালাই। অত টাকা পাব কোথায়! টাকা দিতে না পারায় ওরা আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy