হতে পারে রামনবমী। হতে পারে অন্য ধর্মের উৎসব। তাতে কী? আর্তের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে বড় ধর্ম কী-ই বা হতে পারে? তাই রামনবমীর দিন মসজিদের অদূরে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়া দুই হিন্দু যুবকের শুশ্রূষা করে সম্প্রীতির নজির রাখলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
রামনবমী পালন নিয়ে উন্মাদনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বারাসতেও। গত কয়েক দিন ধরেই শহরের বিভিন্ন এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছিল গেরুয়া পতাকা, ফ্লেক্সে। রামের নামে স্লোগান দিতে দিতে রাস্তা কাঁপিয়ে ছুটছিলেন বাইকচালক যুবকেরা। তেমনই আবহে শনিবারের ঘটনা জগদীঘাটায় কাজিপাড়া মসজিদের কাছে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় বর্মা কলোনির বাসিন্দা দুই যুবক বামনগাছির দিকে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন রামের মূর্তি আনতে। সঙ্গে আরও কয়েকটি বাইক ছিল। বেপরোয়া গতিতে বাইকগুলি চলার সময়ে ওই দুই যুবকের বাইকটির চাকা পিছলে যায়। দু’জনেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ততক্ষণে তাঁদের সঙ্গে থাকা বাকি বাইকগুলি বেরিয়ে গিয়েছে।
প্রবল শব্দ শুনে স্থানীয় মানুষ চলে আসেন দুর্ঘটনাস্থলে। আহত দুই যুবককে উদ্ধার করে তাঁদের জল খাওয়ানো হয়। প্রাথমিক
শুশ্রূষা করানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা আজগর আলির কথায়, ‘‘মসজিদের অদূরেই আমার দোকান। বিকট শব্দে দোকান থেকে বেরিয়ে দেখি, দুই যুবক বাইক নিয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন। সামনেই ছিল বাতিস্তম্ভ। কোনও ভাবে সেখানে ওঁদের মাথা ঠুকে গেলে বড় বিপদ হতে পারত। দ্রুত কয়েক জন মিলে ওঁদের উদ্ধার করি, জল খাওয়াই। খানিকটা সুস্থ বোধ করার পরে ওঁরা চলে যান।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)