মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালি থেকে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে তিনি বলেন, “খুব সুন্দর মিটিং হয়েছে। নজরকাড়ার মতো। সন্দেশের মতো মিষ্টি।সন্দেশখালির মানুষকে ধন্যবাদ। নতুন বছরের প্রাক্কালে সবাই ভাল থাকবেন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা। নতুন বছরে গঙ্গাসাগর পৌষমেলা এবং আরও অনুষ্ঠান আছে। আর বাঘিনিটি ভালো আছে। বন দফতরের কর্মী এবং অন্যরা সমন্বয় করে ভাল কাজ করেছেন।”
সরাসরি সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ না তুললেও, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আমি জানি এখানে টাকার অঙ্কের খেলা হয়েছে। কিন্তু মিথ্যা বেশি দিন চলে না।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চাই সন্দেশখালির ছেলেমেয়েরা এগিয়ে যাক। তারা এক নম্বর স্থানে আসুক। বিশ্ব জয় করুক।” সন্দেশখালির বাসিন্দাদের মিলেমিশে থাকার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সকলে মিলেমিশে থাকবেন। দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। মহিলাদের বলছি কেউ ডাকলে চলে যাবেন না।”
সন্দেশখালির বাসিন্দাদের মিলেমিশে থাকার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সকলে মিলেমিশে থাকবেন। দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। মহিলাদের বলছি কেউ ডাকলে চলে যাবেন না।”
সরকারি্ প্রকল্পের জন্য কাউকে টাকা না-দেওয়ার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আপনার টাকা, আপনার অধিকার। আমাদের প্রকল্পের জন্য টাকা লাগে না। কাউকে টাকা দেবেন না।”
সন্দেশখালিতে বর্ধমানের ল্যাংচা হাবের অনুকরণে সন্দেশখালিতে সন্দেশের হাব করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানতে চাইলেন সন্দেশখালি নামকরণের ইতিহাসও।
নতুন বছরে স্টার থিয়েটারের নাম বদলে যাচ্ছে। সন্দেশখালির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, বিনোদিনীর নামে নামকরণ হতে চলেছে এই প্রেক্ষাগৃহের।
সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মানুষকে আরও কাছাকাছি পরিষেবা দেওয়ার জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নতুন মহকুমা করা হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
উপভোক্তাদের হাতে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোমবার ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬ প্রকল্পের উদ্বোধন হল। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সন্দেশখালিতে সভার শুরুতেই মা-বোনেদের ‘অন্তর থেকে প্রণাম’ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে তৃণমূলে যোগ দিলেন সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুজয় মণ্ডল, যিনি সুজয় মাস্টার নামে সমধিক পরিচিত। প্রসঙ্গত, এলাকায় সুজয় বিজেপি নেত্রী তথা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত পদ্মপ্রার্থী রেখা পাত্রের ‘রাজনৈতিক গুরু’ হিসাবে পরিচিত। সোমবার তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন সুজয়। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, ভুল বুঝতে পেরেই দলে যোগ দিলেন তিনি।
দুপুর ১টা নাগাদ হেলিপ্টারে সভাস্থলে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থলে মহিলাদের জমায়েত চোখে পড়ার মতো।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির তৎকালীন তৃণমূল ব্লক সভাপতি শাহজাহান শেখের বাড়িতে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে যায় ইডি। কিন্তু শাহজাহানের সরবেড়িয়া আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে ঢোকার মুখে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। ইডি আধিকারিকদের মারধর করে তাঁদের জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কয়েক জন আধিকারিককে হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়। এই আবহে সন্দেশখালির কয়েক জন মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ করেন শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় নয়া বিতর্ক। পরে সেই তর্ক রাজ্য রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। নারী নির্যাতন, জমি দখল, মাছের ভেড়ির লিজ়ের টাকা না দেওয়ার মতো বিভিন্ন অভিযোগে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি পথে নামে।
যদিও প্রথম থেকে নারী নির্যাতনের বিষয়টি সাজানো বলে দাবি করে তৃণমূল। এর মধ্যে গ্রেফতার হন শাহজাহান এবং তাঁর কয়েক জন অনুগামী। অন্য দিকে, লোকসভা ভোটের আগেই ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) দেখা যায়, সন্দেশখালির গণধর্ষণের অভিযোগ সাজানো এবং সংগঠিত বলে ‘মেনে নিচ্ছেন’ সেখানকার বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। ঘটনাক্রমে লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রে জয়ী হয় তৃণমূল। যদিও সন্দেশখালি বিধানসভায় অল্প ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এই আবহে মমতার সন্দেশখালি সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামিকাল সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি ‘জনসংযোগ যাত্রা’ করবেন। মঙ্গলবারই সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি ‘জনসংযোগ যাত্রা’ করবেন।
বছরের গোড়ার দিকে সন্দেশখালির প্রতিবাদ-আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন আন্দোলনকারীরা বার বার চেয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বার সেখানে আসুন। বছর শেষে সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঋষি অরবিন্দ মিশনের মাঠে প্রশাসনিক সভা ও পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মোড়া হয়েছে দ্বীপাঞ্চল এবং আশপাশের এলাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy