ধৃত এবং উদ্ধার হওয়া সোনা। নিজস্ব চিত্র
সোনার বিস্কুট ও বাট-সহ এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করলেন শুল্ক দফতরের কর্তারা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পেট্রাপোল সীমান্তে। শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আবদুল্লা কায়ুমের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ‘ক্লিয়ারিং এজেন্ট’ হিসেবে বেনাপোল বন্দরে কাজ করেন। ধৃতের কাছ থেকে ১২টি সোনার বিস্কুট ও ১টি সোনার বাট উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারদর প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা।
তবে সোনা পাচারের অভিযোগে এক ‘ক্লিয়ারিং এজেন্ট’ ধরা পড়ায় সর্ষের মধ্যে ভূত দেখছেন অনেকে। কারণ, পণ্য আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন এই ক্লিয়ারিং এজেন্টরা। এই কাজ করার জন্য তাঁদের শুল্ক দফতর ও ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বৈধ কার্ডের ভিত্তিতেই ওই সব এজেন্টরা দু’দেশের মধ্যে যাতায়ত করেন। তাঁরাই যদি সোনার পাচারের যুক্ত হয়ে পড়েন, তা হলে পাচারকারী ও দুষ্কৃতীদের আটকানো যাবে কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতও সোনা পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশি ক্লিয়ারিং এজেন্ট ধরা পড়েছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাংলাদেশি ক্লিয়ারিং এজেন্ট সংগঠনের কর্তাদের কাছে আগেই তাঁদের সদস্যদের নাম ও ছবি চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা তা আজও দেননি।’’
শুল্ক দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা এগারোটা নাগাদ আবদুল্লা বেনাপোল থেকে বাণিজ্যের কাজের কারণ দেখিয়ে এদেশে ঢোকেন। কিন্তু ওই যুবকের হাঁটাচলার ধরন দেখে সন্দেহ হয় শুল্ক দফতরের কর্তাদের। দফতরের কর্তারা আটক করে তল্লাশি শুরু করেন। দেখা যায় দু’পায়ে কাপড়ে জড়িয়ে তিনি সোনার বিস্কুট নিয়ে এসেছেন। শুল্ক দফতরের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, বেনাপোলের এক ব্যক্তি তাঁকে ওই সোনার বিস্কুট দিয়েছিল। কথা ছিল, পেট্রাপোলের ব্যবসায়ী তাঁর কাছ থেকে বিস্কুটগুলি সংগ্রহ করে নেবে। এই নিয়ে আবদুল্লা তিন বার বাংলাদেশ থেকে সোনার বিস্কুট নিয়ে এসেছেন। বিস্কুটগুলি পৌঁছে দিতে পারলে তিনি ৫ হাজার টাকা পান।
শুল্ক দফতরের এক কর্তা রজত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই বিস্কুট কার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল, ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy