শান্তম ভূঁইয়া, মা বাবার সঙ্গে। নিজস্ব চিত্র
টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ভাঁড়ে অল্প অল্প কিছু খুচরো জমিয়েছিল ১২ বছরের পড়ুয়া শান্তম ভুঁইয়া। ইচ্ছে ছিল ওই টাকা দিয়ে কিছু গল্পের বই কিনবে সে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে একটা ঝড়। সখ পূরণের সময় এটা নয়, ইয়াস ও ভরা কটালের জেরে প্লাবিত হয়েছে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম দেখে ঠাহর করেছে শান্তম৷ তারই প্রতিবেশীরা সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় আইসিডিএস কেন্দ্রের ঘরে৷ তাই সখ পূরণ না করে জমানো টাকা নিয়ে সে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সোজা আশ্রয় শিবিরের দায়িত্বে থাকা এলাকার এক শিক্ষকের হাতে জমানো টাকার ভাঁড় তুলে দিয়ে সে বলেছে, ‘‘কিছু না হোক, যদি বিস্কুট কিনে দিতে পারেন এই টাকায়, তাই অনেক।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কীর্তনখালি এলাকার বাসিন্দা শান্তম স্থানীয় মনসাদ্বীপ সুরেন্দ্রনাথ অ্যাকাডেমি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ির কাছাকাছি অধিকাংশ এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। তাই দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে শুক্রবার সকালে নিজের টিফিনের টাকা থেকে বাঁচানো টাকা নিয়ে সে হাজির হয় মহিষামারি আইসিডিএস কেন্দ্রের আশ্রয় শিবিরে। দায়িত্বে থাকা পলাশ দাসের হাতে তুলে দেয় টাকা। ৪১২ টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকায় বিস্কুট ও শুকনো খাবার কিনে তুলে দেওয়া হয় আশ্রয়ে শিবিরের ছোটদের হাতে। পড়ুয়া শান্তম জানায়, ‘‘স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকারা সবসময় অসহায়দের সাহায্য করার জন্য বলতেন। টাকা জমিয়েছিলাম কিছু গল্পের বই কিনব বলে। কিন্তু জলমগ্ন সাগরের অসহায় মানুষের অবস্থা দেখে আর চুপ করে বসে থাকতে পারিনি। তাই যা জমেছে সেটাই দিয়েছি।’’ শিক্ষক পলাশ দাস, ‘‘সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার কাণ্ড দেখে আমরা অবাক। এই বিপদের দিনে যে ভাবে সে এগিয়ে এসেছে তা আমাদের কাছে শিক্ষনীয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy