প্রতীকী ছবি।
এক প্রতিবেশীর বাড়ি ভাঙচুর লুঠপাটের ঘটনার জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধল গ্রামবাসীদের। বাসিন্দাদের ছোড়া ইটে জখম হয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ তিন পুলিশ কর্মী। পুলিশের মারে জখম হয়েছেন মহিলা-সহ বেশ কিছু গ্রামবাসীও।
শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কুলপির আট মনোহরপুর গ্রামে। ওই ঘটনায় এক মহিলা-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের রবিবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে যাদব হালদার নামে বছর বত্রিশের এক যুবকের সঙ্গে প্রতিবেশী এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ১২ মে রাতে ওই মহিলার এক পরিচিত যাদবকে ডেকে নিয়ে যান। রাতে আর ফেরেননি তিনি। দু’দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উত্তর নারায়ণপুর সুতি খালে যাদবের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, এরপরেই গ্রামবাসীরা জোট হয়ে বছর তিরিশের ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হন। অভিযোগ, সে সময় মহিলার পরিবারের লোকজনকে গ্রামবাসীরা মারধর করে। তখন ওই মহিলার বাড়ির লোক জানিয়েছিলেন, খুনিকে মাস খানেকের মধ্যেই গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ গ্রামবাসীরা জোট হয়ে ফের ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হন। ওই মহিলার পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন তাঁরা। ভাঙচুর করা হয় ওই মহিলার বাড়িও। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমের দিকে কম পুলিশ থাকায় গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ কুলপি, মন্দিরবাজার-সহ ৩ থেকে ৪টি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
রবিবার দুপুরে গ্রাম সুনসান ছিল। ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল সকলেই। অনেকেই ভয়ে গ্রাম ছেড়ে আত্মীয় পরিজনের বাড়িতে পালিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, পুলিশ গ্রামে এসে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাতে রেহাই পায়নি গ্রামের মহিলারা। হাতে গোনা কয়েকজন মহিলা পুলিশ থাকলেও সিভিক ভলান্টিয়ার লাঠি নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা এলোপাতাড়ি মারধর করেছে বলে অভিযোগ। প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে তাণ্ডব চালানোর পর ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহতের মা উর্মিলা হালদার বলেন, ‘‘আমার ছেলেটাকে ওরা খুন করে খালে ফেলে দিল। ওই মহিলারা পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে পুলিশ বলছে জলে ডুবে মারা গিয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আধ হাঁটু জল থেকে যাদবের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওইটুকু জলে কেউ ডুবে মরতে পারে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে যা করনীয় সেটাই করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে গ্রামবাসী। তা ছাড়া ওই যুবক যে জলে ডুবে মারা গিয়েছে তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে। রির্পোটের কপিও ওদের দেখানো হয়েছিল। তারপরেও মিথ্যা খুনের অভিযোগ তুলে মহিলার বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাট চালানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy