বয়স বাড়িয়ে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন অভিভাবকেরা। খবর পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ে রুখল ডায়মন্ড হারবার চাইল্ড লাইন। শুক্রবার কুলপির ঘটনা।
ডায়মন্ড হারবার চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর মহিউদ্দিন শেখ জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁদের কাছে খবর আসে, জোর করে ওই ছাত্রীর বিয়ে দিচ্ছে পরিবার। সংখ্যালঘু পরিবারের বছর ষোলোর কিশোরী কুলপিরই একটি স্কুলে পড়াশোনা করে।
চাইল্ড লাইনের তরফে জানানো হয়েছে, কিশোরীর বাবা দিনমজুর। করোনা-কালে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে পরিবার। তাই মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করে পরিবার।
কিন্তু বিয়েতে রাজি নয় মেয়েটি। সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু পড়াশোনার খরচ বহন করা তাঁর বাবার পক্ষে সম্ভব নয় বলে পরিবার সূত্রের দাবি। ফোনে খবর পেয়ে চাইল্ড লাইন কুলপি থানা, বিডিও, মহকুমাশাসক জেলা শিশুসুরক্ষা আধিকারিক এবং চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ও চাইন্ড লাইনের প্রতিনিধিরা হাজির হন মেয়েটির বাড়িতে।
মহিউদ্দিন জানান, তাঁদের কাছে কিশোরীর বাবা দাবি করেন, মেয়ের বয়স আঠারো পেরিয়েছে। তবে তিনি বয়সের প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। তখন চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করেন ছাত্রীর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। স্কুল থেকে জোগাড় করেন ছাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র। তাতে দেখা যায়, কিশোরীর বয়স যোলো।
মহিউদ্দিন জানান, সত্যিটা বেরিয়ে আসার পরে মেয়েটির বাবা মেনে নেন, তিনি বয়স বাড়িয়ে বলেছেন। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছেন। কিশোরীর বাবা-মাকে বোঝানো হয়। বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিকগুলি জানানো হয়। তাঁরা মুচলেকা দিয়ে জানান, আঠারো না পেরোলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। মহিউদ্দিনের কথায়, ‘‘ফের যাতে মেয়েটির বিয়ের চেষ্টা না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে। অভিভাবকদের বলা হয়েছে, নাবালিকা থাকাকালীন মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy