জঙ্গলের পাশে নদীর চরে রোদ পোহাচ্ছে কুমির। নিজস্ব চিত্র।
বাঘের পরে কুমির!
সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে বলে তথ্য সামনে এসেছিল আগেই। সম্প্রতি বন দফতরের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বাদাবনে কুমিরের সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে।
প্রায় বারো বছর পর এ বার বন দফতরের উদ্যোগে সুন্দরবনে কুমির গণনার কাজ হয়। সেই কুমিরসুমারির ফলই সামনে এসেছে সম্প্রতি। বন দফতরের দাবি, এ বার গণনার সময়ে মোট ১৬৮টি কুমিরকে সরাসরি চোখে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, কুমির যেখানে থাকতে পারে, সেই সব এলাকার পরিস্থিতি ও পরিবেশ খতিয়ে দেখে বন দফতর মনে করছে সুন্দরবনে কমপক্ষে ২০৪টি কুমির রয়েছে। সর্বোচ্চ ২৩৪টি পর্যন্ত কুমির থাকতে পারে বলে মনে করছে তারা। বন দফতর সূত্রের খবর, ২০১২ সালে শেষ কুমিরসুমারিতে ভারতীয় সুন্দরবনে ১৪১টি কুমিরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই তুলনায় এ বার কুমিরের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে ২২টি দল গণনার কাজ চালায়। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ এলাকা মিলিয়ে কুমিরের খোঁজ চালান শতাধিক বনকর্মী ও কুমির বিশেষজ্ঞেরা। তবে জানুয়ারি মাসে, কুমির গণনা চলাকালীন আবহাওয়া খারাপ ছিল। নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিও হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও অনেক কুমিরকেই জঙ্গলের পাশে নদীর চরে রোদ পোহাতে দেখা যেত। তা হলে সরাসরি কুমির দর্শনের সংখ্যা আরও বাড়ত। বন দফতর জানিয়েছে, মূলত খালি চোখে দেখেই কুমির গণনা করা হয়েছে। কোথাও কুমিরের উপস্থিতি অনুভব করলে সেই সংখ্যাও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও যে এলাকায় কুমিরের দেখা মিলছে, সেই এলাকার অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ এবং জলের তাপমাত্রা, লবণের পরিমাণ— সবই রেকর্ড করা হয়েছে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “সুন্দরবনের প্রায় ৪২০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই এই গণনার কাজ হয়েছে। সরাসরি খালি চোখে দেখে এবং এলাকায় কুমিরের উপস্থিতি অনুভব করে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা খুশি, সুন্দরবনে আগের তুলনায় কুমিরের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy