Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Tiger Conservation

Tiger: মানুষের স্বার্থেই বাঁচাতে হবে বাঘকে, বার্তা বাঘ দিবসে

এক সময়ে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। গত কয়েক বছরে সংখ্যাটা বেশ খানিকটা বেড়েছে।

সচেতনতা:  ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার।

সচেতনতা: ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
সজনেখালি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ০৫:৫৭
Share: Save:

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি ও ২৪ পরগনা বনবিভাগের ঝড়খালিতে বৃহস্পতিবার পালিত হল বিশ্ব বাঘ দিবস। বাঘ সংরক্ষণের বার্তা দিতেই দিনটি পালিত হয়। সজনেখালিতে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। ঝড়খালিতে ছিলেন এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী-সহ অনেকে।

এক সময়ে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। গত কয়েক বছরে সংখ্যাটা বেশ খানিকটা বেড়েছে। বন দফতর সূত্রের খবর, বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘেদের সংখ্যা একশোর আশেপাশে। দফতরের অনুমান, সজনেখালি রেঞ্জে ১০টি, বসিরহাট রেঞ্জে ১৯টি, জাতীয় উদ্যান (পূর্ব) ২৪টি এবং জাতীয় উদ্যান (পশ্চিম) ২০টি বাঘ রয়েছে ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায়। অন্য দিকে, ২৪ পরগনা বন বিভাগ এলাকায় ২৩টি বাঘ রয়েছে।

এই সংখ্যাটা সঠিক কিনা, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে। প্রতি বছর সুন্দরবনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা লাগিয়ে বাঘেদের ছবি তুলে সেই ছবি পর্যালোচনা করে বাঘেদের সংখ্যা নির্ধারণ করে বন দফতর। গত কয়েক বছরে বাঘেদের সংখ্যা যে সুন্দরবনে বেড়েছে, তা মানছেন বন আধিকারিকেরা। গত এক বছরে সুন্দরবনে রেকর্ড পরিমাণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাঘের হামলায়। গত পনেরো দিনেও অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বন দফতরের দাবি, মানুষ নিজের জায়গা ছেড়ে বাঘেদের জায়গায় ঢুকে পড়ার কারণেই বাঘে-মানুষে সঙ্ঘাত বাধছে। তাই একের পর এক দুর্ঘটনাও ঘটছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর বলেন, ‘‘আমরা বার বার জঙ্গল-লাগোয়া এলাকার মানুষকে সচেতন করে আসছি, যাতে কোনও ভাবেই তাঁরা নৌকো থেকে জঙ্গলে না নামেন। কিন্তু সেই সতর্কতা অমান্য করার কারণেই বেশি বিপদ ঘটছে। মানুষ জঙ্গলে ঢুকে পড়ছেন বাড়তি রোজগারের সন্ধানে। তখনই বিপদ ঘটছে।”

বন দফতরের দাবি, বাঘকে না বাঁচালে জঙ্গল বাঁচবে না। আর জঙ্গল না বাঁচলে মানুষেরও ক্ষতি। তাই সব রকম পরিস্থিতিতে বাঘকে বাঁচাতেই হবে। এ দিন বিশ্ব বাঘ দিবসের মঞ্চ থেকে সেই বার্তা দেন বনাধিকারিকেরা।

বন দফতরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছে যৌথ বন পরিচালন কমিটি ও বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা। জঙ্গল-লাগোয়া এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই যৌথ বন পরিচালন কমিটি গঠন করেছে বন দফতর। প্রতিবছর সুন্দরবনের পর্যটন থেকে যা আয় হয়, বন দফতর তার ৪০ শতাংশ এই কমিটিগুলির মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেয়। বিশ্ব বাঘ দিবসের দিন এই অর্থ তুলে দেওয়া হয় কমিটির হাতে। এ বছর সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন ২৬টি বন পরিচালন কমিটিকে প্রায় ৫ লক্ষ করে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গল ও বাঘ রক্ষায় বন দফতরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য ১৬টি বেসরকারি সংস্থাকে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Tiger Conservation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE