প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেবদাস মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে বনগাঁয় মুকুল-ঘনিষ্ঠ নেতাকে শোকজ করল বিজেপি। মুকুল অনুগামী হিসাবে পরিচিত বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলকে শোকজ করেছেন জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব। এ নিয়ে মুখ খোলেননি দু’তরফেরই কেউই। তবে দেবদাসকে শোকজ করা নিয়ে বিজেপি-কে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল।
দেবদাসকে দলের তরফে পাঠানো চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ না দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন দেবদাস। এমনকি বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে হওয়া বৈঠকেও তিনি যাননি। তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে বৈঠকগুলির তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে। আরও অভিযোগ করা হয়েছে, একটি অনুষ্ঠানে বিজেপি-র দলীয় পতাকা ব্যবহার করা হলেও সর্বভারতীয় সভাপতি এবং রাজ্য সভাপতির ছবি ব্যবহার করা হয়নি। সর্বভারতীয় সভাপতি এবং রাজ্য সভাপতিকে দেবদাস অপমান করেছেন বলে অভিযোগ করে তার কারণ জানতে চেয়েছে দল।
দেবদাসকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। যদিও শোকজ নোটিস নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তিনি। এ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও। তবে এ নিয়ে বনগাঁ উত্তর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি শোভন বৈদ্য বলেন, ‘‘ভোটের পর থেকে প্রতিটি বৈঠকেই ওঁকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। ওঁর শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। সেটা জেলা সভাপতি শোকজ করে জানতে চেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক নিশ্চয়ই তার উত্তর দেবেন। মুকুল রায় বা কারও অনুগামী বলে শোকজ করা হয়েছে এমন নয়। আমাদের দলের নিয়ম, পর পর তিনটি বৈঠকে কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে।’’
বিষয়টি নিয়ে টিপ্পনি কেটেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর গোপাল শেঠ। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি-র শোকজ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে আগামিদিনে বিজেপি-তে কেউ থাকবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy