মুকুল রায়ের সঙ্গে দুলাল বর। — ফাইল চিত্র
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে মুকুল রায় যোগ দিয়েছেন শুক্রবার। মাঝের একটা দিন গড়াতেই নিজেকে নিয়ে জল্পনার আবহ তৈরি করলেন বিজেপি-র রাজ্য তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সেলের সভাপতি দুলাল বর। মুকুলের নাম নিয়েই বাগদার ওই বিজেপি নেতা বলছেন, ‘‘রাজনীতি সম্ভাবনাময় শিল্প।’’ বিজেপি-তে মুকুলের সম্মানের ‘ঘাটতি’ ছিল বলেই মনে করেন তিনি।
শুক্রবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে সপুত্র মুকুলের জোড়াফুল শিবিরে ফিরে যাওয়ার ছবিটা রাজ্য জুড়ে ভিন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। পুরনো শিবিরে ফিরে এসে মুকুল ‘খেলা’ শুরু করে দিয়েছেন বলেও রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের অভিমত। মুকুলের দলবদলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘বেসুরো’ হয়েছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার ‘বেসুরো’ সেই বাগদারই দাপুটে নেতা দুলাল। প্রথমে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে। পরে ফের তৃণমূলে ঢুকে বিজেপি-তে যাওয়া মুকুল ঘনিষ্ঠ দুলাল বলছেন, ‘‘রাজনীতি করতে গেলে নেতা ধরতেই হয়। তৃণমূল করাকালীন উনি (মুকুল) আমার নেতা ছিলেন। এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। বিজেপি-তে এসেছিলাম ওঁর (মুকুলের) হাত ধরে। রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। কী করব না করব সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। ওঁর (মুকুলের) কথায় বলি, ‘রাজনীতি হচ্ছে একটা সম্ভাবনাময় শিল্প’। দেখা যাক কী হয়।’’
মুকুলের বিজেপি ত্যাগ নিয়ে দুলালের ব্যাখ্যা, ‘‘আমার অভিমত, মুকুল রায় খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না। ওঁর সম্মানেরও ঘাটতি ছিল। যদিও উনি আমাদের সঙ্গে কোনও আলাপ আলোচনা করেননি। আমি সামান্য বিধায়ক ছিলাম। তবে রাজ্যে বিজেপি যদি দল বাড়াতে চায়, তা হলে যোগ্য লোককে যোগ্য সম্মান দিতে হবে। আমি এখনও বিজেপিতে আছি। ভবিষ্যতে কী হয়, না হয় সেটা সময় বলবে। ভোটের টিকিট না পাওয়ার পরে আমি ব্যক্তিগত ভাবে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। দল যেমন বৈঠকে ডেকেছে গিয়েছি।’’
২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে বাগদা থেকে প্রথম বিধায়ক হন দুলাল। ২০১১ সালে অবশ্য তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। ২০১৬-তেও টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। বাগদায় কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে তৃণমূল প্রার্থী উপেন বিশ্বাসকে হারিয়ে দিয়ে বিধায়ক হন দুলাল। এর কিছু দিনের মধ্যে অবশ্য ফের তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। তবে মুকুল বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে তিনিও বিজেপি-তে চলে যান। বিজেপি-র ঘরে বসে মুকুলকে নিয়ে এ হেন দুলালের মন্তব্য স্বাভাবিক ভাবেই নতুন জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy