Advertisement
E-Paper

বোর্ড গঠনে কারচুপির অভিযোগ বিজেপির

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়ে, বুধবার নামখানা ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন হয়। বিজেপি ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে পেরেছে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১০:১০
Share
Save

বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বুধবার অশান্তির সাক্ষী থাকল নামখানা ব্লক।

প্রধান নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বুধবার রাতে নামখানা বিডিও অফিসের গেটে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়ে, বুধবার নামখানা ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন হয়। বিজেপি ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে পেরেছে। বুধবার দুপুরে শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনে ভোটাভুটিতে কারচুপির অভিযোগ তোলে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে অর্চনা বারুইয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। অন্য দিকে, ‘এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে’ বিজেপির তরফে পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা এ বারের জয়ী প্রার্থী অনিতা মণ্ডলের নাম প্রস্তাব করা হয়। ভোটাভুটির মাধ্যমে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ব্লকের ইলেকশন ওসি এসে কারচুপি করেন বলে অভিযোগ। ভোটাভুটিতে জয়ী হন অর্চনা। পঞ্চায়েত থেকে জয়ী বিজেপি প্রার্থী এবং পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে বিজেপির প্রস্তাবিত তৃণমূল প্রার্থীকেও বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাতেই অনিতা যোগ দেন বিজেপিতে।

এ দিকে, ভোটাভুটিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া পুনরায় করার দাবি ওঠে। নামখানা বিডিও অফিস ঘেরাও করা হয়। এই পঞ্চায়েতে ২৮টি আসনের মধ্যে ১৮টি তৃণমূল, ১০টি বিজেপি জিতেছে। পরে এক তৃণমূল প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দেন। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বিজেপি মানতে নারাজ। তারা হাই কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

তৃণমূল নেতা শ্রীমন্ত মালি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে ভোটে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে কোনও কারচুপি হয়নি। দলবিরোধী কাজের জন্য আমাদের এক জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ অন্য দিকে, বিজেপি নেতা অনুপ সামন্ত বলেন, ‘‘তৃণমূল ছাপ্পা করে প্রধান পদে বসেছে। ওরা ক্রস ভোটিংয়ের ভয়ে আমাদের ভোট দিতে দেয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

namkhana

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}