‘রাজ্যপালের ভালমানুষিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার।’ অভিযোগ শুভেন্দুর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে থাকছেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার নিজেই টুইট করে সে কথা জানিয়ে দিলেন। কেন তিনি রাজভবনে যাচ্ছেন না, তার বিস্তারিত কারণ জানালেন ওই টুইটে।
রাজ্যপালের ভালমানুষিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার। নবান্নের ‘দূত’ হিসাবে ‘কাজ’ করছেন রাজ্যপাল প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী। এ ছাড়াও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা উঠে আসছে, তখন রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’র অনুষ্ঠান দেখিয়ে ওই সব ইস্যু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করে টুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন কেন তিনি রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে থাকবেন না।
The reason why I won't be attending the হাতে খড়ি "Hatey Khori" event at the Raj Bhavan today:- pic.twitter.com/5yJeQ2JmKP
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 26, 2023
রাজভবনে আসা ইস্তক রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্কেরই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপাল। অন্য দিকে, শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, শিক্ষা দফতরে দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে যখন চাপান-উতোর চলছে, টাকার বিনিময়ে শিক্ষকের চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে, তখন ঘটা করে এই সমস্ত অনুষ্ঠান করে সবার নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তিনি লিখেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে, এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার মূলে রয়েছে রাজ্য সরকার। ঠিক যেন অশ্লীল কোনও বইকে ঝকঝকে মলাট দেওয়ার মতো কাজ করা হচ্ছে। তাই আমি মনে করি, বিকেল ৫টার অনুষ্ঠান রাজ্যপালের চেয়ার এবং রাজভবনের মর্যাদাকে বাড়াবে না।’’
এর পরে বিরোধী দলনেতা নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। টেনে এনেছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ‘সম্পর্ক’-এর কথা। শুভেন্দুর কটাক্ষ, নানা সময় মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্যপালের পদ তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপালের পদ ‘অপ্রাসঙ্গিক’ এবং রাজ্যের কোষাগারের উপর বাড়তি ‘চাপ’ হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন। এবং শেষে শুভেন্দু জানিয়েছেন, করদাতাদের টাকায় এমন একটি ‘অযাচিত’ এবং ‘হাস্যকর’ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চান না।
উল্লেখ্য, বাংলা ভাষা শেখার ইচ্ছাপ্রকাশ করে সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় এই ভাষায় ‘হাতেখড়ি’ করতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের জন্য আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সব পক্ষকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়া এড়াতে শুভেন্দু যে গরহাজির হতে পারেন, সে কথা আগেই জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। এর আগে রাজ্যপাল বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও শুভেন্দু ছিলেন না। সে বার তাঁর জন্য নির্ধারণ করা আসন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।
রাজভবনের অনুষ্ঠানে না গেলেও বৃহস্পতিবার কলকাতা শহরেই থাকার কথা নন্দীগ্রামের বিধায়কের। তাঁর যাওয়ার কথা মানিকতলায় ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ’-এর সরস্বতী পুজোয়। এ ছাড়া কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজোয় আমন্ত্রণ রয়েছে। সেই সব জায়গাতেও যেতে পারেন শুভেন্দু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy