চিকিৎসা চলছে এক জওয়ানের। নিজস্ব চিত্র
এক পাচারকারীকে আটক করে চৌকিতে আনার পথে বিএসএফ জওয়ানদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিএসএফের এক মহিলা কনস্টেবল এবং তিন জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন। গ্রামের মানুষের পাল্টা অভিযোগ, তল্লাশির নামে গিয়ে মারধর করেছে বিএসএফ। একজনের মাথা ফাটে। মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে। এই অভিযোগ অবশ্য মানেনি বাহিনীর কর্তারা।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার নওদায়। বিএসএফ জানিয়েছে, আলমগির মণ্ডল নামে ওই পাচারকারীকে আটক করে পরে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৩ কেজি গাঁজা ও ৩৭১ বোতল কাশির ওষুধ।
পুলিশ জানায়, বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের মামাভাগিনা চৌকির জওয়ানেরা শুক্রবার রাতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন। আলমগিরকে আটক করে গাড়িতে তুলে আনার সময়ে কিছু লোক লাঠি-পাথর নিয়ে আক্রমণ করে। সিসি ক্যামেরা, রেকর্ডার, কম্পিউটার ভাঙচুর করে। বিএসএফের আরও জওয়ান এবং পুলিশ পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে। বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয় সকলকে। একজনকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিএসএফ জানিয়েছে, উত্তেজিত জনতা পরে মামাভাগিনা চৌকি ঘেরাও করে। জওয়ানেরা তাদের হটিয়ে দেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তল্লাশির নামে অত্যাচার চালায় বিএসএফ। থানায় অভিযোগও করেছেন তাঁরা।
বাহিনীর বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ অস্বীকার করে বিএসএফের ডিআইজি (আঞ্চলিক সদর দফতর, কৃষ্ণনগর) সঞ্জয় কুমার অবশ্য বলেন, ‘‘বিএসএফের তৎপরতার ফলে চোরাকারবারিরা সমস্যায় পড়ছে। তাদের প্রতিশোধস্পৃহা বাড়ছে। তাই এই হামলা।’’ জানান, পাচারকারীকে যারা ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন দফতরের গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy