আবার অশান্ত ভাঙড়। তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। —ফাইল চিত্র।
আবার উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির রাজনৈতিক সভার মঞ্চ বাঁধাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে আহত হলেন তৃণমূল এবং আইএসএফের বেশ কয়েক জন কর্মী। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় দুই দলের কর্মীদের মারামারিতে এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তেজনা প্রশমন করতে চলছে পুলিশি টহল। ঘটনাস্থলে বসেছে পুলিশ পিকেটিং।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার ভাঙড়ের জাগুলগাছি এলাকায় রাজনৈতিক সভা করার কথা ছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের। সভার জন্য নির্ধারিত স্থানে মঞ্চ বাঁধতে গেলে কয়েক জন তৃণমূল কর্মী সেই মঞ্চ ভেঙে দেয় বলে আইএসএফের অভিযোগ। এমনকি তাঁদের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে নওশাদ দলের অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে আইএসএফের বিরুদ্ধেই পাল্টা অশান্তি করার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাদের আরও অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত একটি ক্লাবে ভাঙচুর চালিয়েছে আইএসএফ। তার প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। আহতদের মধ্যে কয়েক জনকে নলমুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
যে তৃণমূল কর্মীরা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে রবিবার দেখা করতে যান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তৃণমূলের ভাঙড়ের বিশেষ পর্যবেক্ষক শওকতের অভিযোগ, ‘‘নওশাদের পরিকল্পনাতেই সব হচ্ছে। তবে ভাঙড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।’’ অন্য দিকে, আইএসএফের অভিযোগ, অশান্তির মূলে রয়েছে শাসকদল ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে পাঠানো হচ্ছে। পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান জবলেন, ‘‘এলাকায় নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy