ভাঙচুর: অশোকনগরে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
অশোকনগর- কল্যাণগড়ের পুরপ্রধান ও এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লিফলেট ছড়িয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগে শিক্ষকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই শিক্ষকের বাড়ি ও গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তিনি বিজেপি সমর্থক বলে পরিচিত। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতকল এলাকায়। শ্যামল মল্লিক নামে ওই শিক্ষক গোবরডাঙার খাটুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্ত্রী রুবি বলেন, ‘‘আমার স্বামী এমন কাজে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে এসে গালিগালাজ করেছে। ভাঙচুর করেছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’
রবিবার পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার ও কাউন্সিলর অনুপ রায়ের বিরুদ্ধে বেনামে ছাপানো কিছু লিফলেট ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তাতে লেখা ছিল, ‘চোর হটাও, পুরসভা বাঁচাও।’ আরও দাবি করা হয়, পুরপ্রধান নাকি মেয়ের বিয়েতে প্রচুর টাকা খরচ করেছিলেন। কলেজের কর্মী হয়ে কী ভাবে মেয়ের বিয়েতে এত টাকা খরচ করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। অনুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, গোলবাজার এলাকায় তিনি নাকি খাস জমি দখল করে বিক্রি করেছেন। দু’জনেই অবশ্য জানিয়েছিলেন, পুর প্রশাসনের কাজে যাঁদের অসুবিধা হচ্ছে, তাঁরাই এই ঘটনায় যুক্ত। ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ লোকজনই এমন কাজ করেছেন। প্রবোধ বলেন, ‘‘ওই লিফলেট কারা ছড়াচ্ছে, তা জানতে কর্মী-সমর্থকেরা খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ওই শিক্ষক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় হরিপুর নেতাজি শতবার্ষিকী কলেজের কাছে লিফলেট ছড়াচ্ছেন। এটা প্রকাশ্যে আসতেই এ দিন কিছু কর্মী ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রতিবাদ জানাতে। হামলা ভাঙচুর বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’’
ঘটনার খবর পেয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির অশোকনগর পৌর মণ্ডলের সভাপতি শ্যামল সরকার। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁকেও মারধর করেছে। শ্যামলের কথায়, ‘‘১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ওই লিফলেট ছড়িয়ে পড়েছিল। মিথ্যে অভিযোগ তুলে তৃণমূল হামলা চালাল। আমাকেও মারধর করল। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy