অনুপম দত্তকে খুনের ঘটনার আট মাস পরে শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। ফাইল চিত্র।
পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুনের ঘটনার আট মাস পরে শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। সোমবার সকাল থেকেই ব্যারাকপুর আদালতে ভিড় করেছিলেন অনুপমের আত্মীয়-পরিজন, পরিচিত এবং দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও সাক্ষী, আসামি ও দু’পক্ষের আইনজীবীদের ছাড়া কাউকেই এ দিন আদালত কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা বিচারক অরূপ রায়ের এজলাসে এ দিন হাজির করানো হয় অনুপম-হত্যায় অভিযুক্ত সঞ্জীব ওরফে বাপি পণ্ডিত, অমিত পণ্ডিত ও জিয়াউল মণ্ডলকে।
মামলার প্রথম সাক্ষী হিসাবে এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন অনুপমের খুড়তুতো ভাই প্রসেনজিৎ দত্ত। যিনি খুনের ঘটনার পরে খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। গত ১৩ মার্চ আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোডে প্রকাশ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল পানিহাটির আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপমকে। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সত্যব্রত দাস বলেন, ‘‘আসামিদের দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল। আদালতও বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত দ্রুত গতিতে শেষ করতে বদ্ধপরিকর।’’
অনুপমের স্ত্রী, কাউন্সিলর মীনাক্ষী দত্ত ও অন্যদের দাবি, এ দিন তাঁরা আদালত কক্ষের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুনানি শেষে এজলাসের লক-আপ থেকে বাপিকে বার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ‘এ রকম আরও হবে’ বলে সে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছেন মীনাক্ষীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy