অনুপম দত্ত। ফাইল ছবি
বাড়ির কাছেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। ঘটনার পরেই গ্রেফতার হয়েছিল মূল অভিযুক্ত। সঞ্জীব ওরফে বাপি পণ্ডিত নামে সেই যুবক সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পায়। রাতে সেই খবর জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। বি টি রোড অবরোধ করে রাত পর্যন্ত চলে প্রতিবাদ। পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
গত ১৩ মার্চ বাড়ির কিছুটা দূরে, আগরপাড়া স্টেশন রোডে স্কুটারে ওঠার সময়ে এক দুষ্কৃতী একেবারে সামনে থেকে অনুপমকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের। রাতেই এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় অমিত পণ্ডিত নামে এক দুষ্কৃতী। তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খুনের সুপারি দিয়েছিল বাপি। এমনকি, আগেই অন্য এক দুষ্কৃতীকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে কাজটি না করায় পুর ভোটের পরেই অমিতকে কাজে লাগায় বাপি। ঘটনার পর থেকেই অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী ও পরিজনেরা দাবি করেছিলেন, দোষীদের চরম শাস্তি দিতে হবে।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এ দিন তাঁরা জানতে পারেন, কলকাতা হাই কোর্ট থেকে বাপি জামিনে ছাড়া পেয়েছে। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনুপমের প্রতিবেশীরা। তাঁরা বি টি রোডের আগরপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে চলে আসেন। শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে, তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে তৃণমূলের পতাকাও ছিল। দাবি ওঠে, বাপিকে মুক্তি দেওয়া চলবে না। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, মামলা সাজানোয় পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলেই এমনটা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের উপরে তাঁদের ভরসা থাকলেও স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের উপরে বিশ্বাস নেই বলেও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।
এই খবর পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মীনাক্ষী। তিনি এখন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। প্রথমে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy