স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের নামের তালিকা এই ভাবে কেটে দেওয়া হয়েছে।—নিজস্ব চিত্র।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে জীবিত ব্যক্তিকে ‘মৃত’ দেখিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় পঞ্চায়েতের চক পীতাম্বর দত্ত এলাকায়।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এই এলাকায় কোনও সমীক্ষা না করেই তালিকা থেকে জীবিত ব্যক্তিদের ‘মৃত’ হিসেবে দেখিয়ে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য প্রশাসনিক স্তরে নতুন করে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। ওই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় আশাকর্মীদের। অভিযোগ, বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় পঞ্চায়েত এলাকায় আশাকর্মীরা সমীক্ষার কাজে আদৌ কোনও বাড়িতে যাননি। জীবিত ব্যক্তিদের নামের পাশে ‘কাটা’ চিহ্ন দেগে দিয়ে নিজেদের মতো করে তালিকা তৈরি করেছেন। এবং সেই রিপোর্টটিই ব্লক অফিসে জমা দিয়েছেন। এটা নিয়ে জানাজানি হতেই ক্ষোভ তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন মল্লিক, নুরুল হক মোল্লা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য নতুন তালিকা প্রস্তুত করার জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে বলে শুনেছি। অথচ আমাদের গ্রামে এ ধরনের কোনও সমীক্ষাই হয়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য নামের একটি তালিকা তৈরির সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে ব্লক। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তালিকায় জীবিত ব্যক্তিদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে, আগামী দিনে অনেকেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।’’ তাঁরা আরও জানান, প্রশাসনের কাছে তাঁরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন।
হঠাৎ নতুন করে সমীক্ষা কেন?
ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সব পরিবারে নতুন প্রজন্মের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এখনও হয়নি তাঁদের জন্য সমীক্ষা করা হচ্ছে। সমীক্ষার পরে তাঁদের নতুন কার্ড দেওয়া হবে। তা ছাড়া, কোনও কোনও পরিবারের ইতিমধ্যে যদি কেউ মারা গিয়ে থাকেন, তাঁর কার্ডটি বাতিল করা হবে। এ জন্যই এই সমীক্ষা করা হচ্ছে। আশাকর্মীরা সমীক্ষার কাজটি করছেন। বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা বলেন, ‘‘এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। আপাতত ওই এলাকায় সমীক্ষার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy