ভুবনেশ্বরী চরে বন দফতরের দল। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি করা হচ্ছে ভেড়ি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তদন্তে নামল বন দফতর। মঙ্গলবার দফতরের আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পুলিশ এবং বনদফতরের নজর এড়িয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় ম্যানগ্রোভ কেটে মেছোভেড়ি তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ নিয়েই হাইকোর্টে মামলাও হয়। তার প্রেক্ষিতে সেই অভিযোগের তদন্তে নামল বন দফতর। মঙ্গলবার অভিযোগকারীকে সঙ্গে নিয়ে মথুরাপুর ২ নম্বর এবং কুলতলি ব্লকের বিস্তীর্ণ ম্যানগ্রোভ অরণ্য পরিদর্শন করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহ-বিভাগীয় বনাধিকারিক (এডিএফও) অনুরাগ চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতা, দু’টি ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিক, রায়দিঘি থানা এবং মৈপিঠ উপকূল থআনার আধিকারিকরা। তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরান নদীর পাশে রয়েছে ভুবনেশ্বরী চর। অভিযোগ, ওই চরের ম্যানগ্রোভ কেটে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হচ্ছে মাছের ভেড়ি। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন মদনমোহন হালদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। ওই মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী দল পৌঁছয় ওই এলাকায়। সুন্দরবনে গাছকাটা ঠেকাতে আগেই বনদফতরের উদ্যোগে প্রতিটি ব্লকেই একটি বিশেষ দল তৈরি হয়। মঙ্গলবার সেই দলও যায় ভুবনেশ্বরী চরে। জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পর এডিএফও-এর নেতৃত্বে বিশেষ প্রতিনিধি দল তদন্তে যায়। কিন্তু মাছের ভেড়ি তৈরির কোনও খবর আপাতত নেই। তবে গোটা চরে কয়েক হাজার ম্যানগ্রোভ বসানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy