—প্রতীকী ছবি।
ফুটপাত দখল করে দোকানের জন্য জায়গা বিক্রির প্রতিবাদ করেছিলেন স্থানীয় এক যুবক। অভিযোগ, তারই পরিণতিতে সোমবার গভীর রাতে রাস্তায় ফেলে, অর্ধনগ্ন করে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারা হল তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের মোহনপুর থানার চক কাঁঠালিয়া এলাকার বাসিন্দা, অনিল রায় নামে ওই যুবককে সঙ্কটজনক অবস্থায় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মোসারেক আলি ওরফে কচি-সহ মোট আট জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা এলাকায় সাট্টা-জুয়ার ঠেক চালায় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ধৃতদের মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি রাস্তার ধারে দখলদারদের উচ্ছেদে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। ঠিক সেই সময়ে নিজেদের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে মোসারেক, মুন্না, সোয়েবউদ্দিন, নাসিরুদ্দিন, কুতুবুদ্দিনদের মতো কয়েক জন মোহনপুর এলাকায় তোলাবাজি করে এবং বিভিন্ন জায়গায় জুয়ার বোর্ড বসায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। যদিও তারা আদৌ কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার ছত্রচ্ছায়ায় আছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরাই। অনিলের স্ত্রী রচনা বলেন, ‘‘সরকারি রাস্তার ধারে খাস জমি বিক্রি করছিল কয়েক জন। অনিল প্রতিবাদ করে একটা খুঁটি পুঁতে দিয়েছিল। এ ভাবে দোকানের জায়গা বিক্রি হয় না বলে ওদের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল। সেই কারণেই কয়েক জন জুয়াড়ি রাতে ওর উপরে হামলা চালায়। ওকে মেরে ফেলারই চেষ্টা করেছিল। এলাকার লোকজন জড়ো হওয়ায় কোনও রকমে প্রাণে বাঁচলেও কী হবে বুঝতে পারছি না।’’
আজ, বুধবার গ্রামবাসীরা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে ধৃতদের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘‘রাস্তায় ফেলে হিংস্র ভাবে ছেলেটিকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই বর্বরতা কোনও ভাবেই মানতে পারছি না। তাই প্রশাসনের সব স্তরে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকেও আমরা এই ঘটনা জানাব।’’ ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা ধরা পড়েছে। আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা, তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। সরকারি জমি দখল করে রাখলে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ যেমন করবে, তেমনই জুয়াড়িরা দলের নাম ভাঙালে প্রশাসনকে আরও শক্ত হতে বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy