—প্রতীকী চিত্র।
বোর্ড গঠনের পরেই গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাহেব আলিকে। শনিবার হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করল অমিত গায়েন নামে এক জনকে। তার বাড়ি বসিরহাটে। বুধবার রাতে সেখান থেকেই অমিতকে ধরে হাড়োয়া থানার পুলিশ। তাকে ১১ দিন পুলিশি হেফাতরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বসিরহাট আদালতের বিচারক।
সাহেবের দাদা আয়ুব আলি শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শামলা বাজারের কাছে রাতে গুলি করে খুন করা হয়েছিল সাহেবকে। সে সময়ে বৃষ্টি হচ্ছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সময়ে স্থানীয় কয়েক জন সেখানে ছিলেন। পুলিশ সেই সব ব্যক্তির ফোনের টাওয়ার লোকেশন, কল ডিটেলস খতিয়ে দেখে। ওই সব ব্যক্তিদের সঙ্গীসাথীদের উপরেও নজর রাখা হচ্ছিল। সন্দেহভাজন কয়েক জনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কয়েক জনের নাম জানা যায়। তাদের মধ্যে আছে অমিত। অমিতকে পুলিশ ধরতে পারলেও আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ আছে আরও কয়েক জনের।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, অমিত স্বীকার করেছে, সাহেবের বুকে সে-ই গুলি করেছিল। আরও কয়েক জন দুষ্কৃতী ছিল। তারাও গুলি চালায়। পুলিশ জানতে পেরেছে, তাদের অনেকে মাদক কারবার বা মারামারির ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে জেলে ছিল দীর্ঘ দিন। সে সময়ে ওই দুষ্কৃতীদের নিজেদের মধ্যে পরিচয় তৈরি হয়। তবে খুনের কারণ নিয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। একটি সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, এলাকায় দুষ্কৃতীদের তোলাবাজির প্রতিবাদ করতেন সাহেব। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে সাহেবের উপরে আক্রোশ ছিল ওই দুষ্কৃতীদের।
সাহেবের স্ত্রী হালিমা বিবি দাবি করেছিলেন, দলের সঙ্গে যুক্ত কিছু দুষ্কৃতীই এই খুনের ঘটনায় জড়িত। তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত এলাকার এক দুষ্কৃতীর দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি। সেই দুষ্কৃতীর সঙ্গে সাহেবের পুরনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল বলেও দাবি করেন হালিমা। মিনাখাঁর এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খাঁ বলেন, “তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। খুনের প্রকৃত কারণ অবশ্যই সামনে আসবে। জড়িতদের কেউ রেহাই পাবে না।’’
তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, সাহেব এলাকায় প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অমিত-সহ স্থানীয় আরও কয়েক জন দুষ্কৃতী মাদক আইনে গ্রেফতার হয়ে কয়েক বছর জেলে ছিল। হাড়োয়া এলাকার এক দুষ্কৃতীও মাদক আইনে গ্রেফতার হয়েছিল। নুরুলের কথায়, ‘‘আমার মনে হয় ওই দুষ্কৃতী অন্য দুষ্কৃতীদের সঙ্গে জেলে বসে চক্রান্ত করে সাহেবকে খুন করেছে। সাহেব এ বার পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছেন। তাঁকে না সরালে এলাকায় ফিরে অসামাজিক কাজকর্ম করা যাবে না বলে বুঝতে পেরেছিল অমিতরা।’’ এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ নেই বলেই তাঁর মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy