প্রতীকী চিত্র।
মুন্ডহীন এক সদ্যোজাতের দেহ পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে। শিশুকন্যার নাভির কাছে তখনও লাগানো হাসপাতালে স্টিকার। পাশের খাল থেকে একটা কুকুর ওই দেহ মুখে করে নিয়ে আসছিল। সেই সময় স্থানীয়রা তাড়া দিতেই দেহটি ফেলে পালিয়ে যায় কুকুরটি। ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হাজিপুরের টোলট্যাক্স এলাকায় পড়ে থাকা ওই দেহ নিয়ে সোমবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
যেখানে কুকুরটি দেহ ফেলে দিয়ে পালায়, তার কাছেই বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস ও আবাসন রয়েছে। পাশেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সেন্ট্রাল আইবি)-র কার্যালয়। ঢিল ছোড়া দূরত্বে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতের বিচারকদের আবাসন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে একটা কুকুর হুগলি নদী সংলগ্ন পাশের খাল থেকে ওই সদ্যোজাতের দেহটি মুখে করে রাস্তার ধারের একটি বাড়ির সামনে আনে। কয়েক জন তাড়া দিতেই দেহটি ফেলে পালিয়ে যায় সে। খবর দেওয়া হয় থানায়। তড়িঘড়ি পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ওই শিশুটির দেহে হাসপাতালের স্টিকারও লাগানো ছিল। তবে কোন হাসপাতালের স্টিকার, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘দেহ দেখে মনে হচ্ছিল বেশ কয়েক দিন আগে শিশুটিকে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। শরীরে পচন ধরে গিয়েছিল।’’
জীবিত অবস্থায় ওই শিশুকন্যা হাসপাতাল থেকে উধাও হয়েছিল, নাকি খালের জলে কেউ বাচ্চাটিকে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই শিশুটির দেহে একাধিক ক্ষত রয়েছে। কোনও জন্তুর কামড়ে তার মাথা দেহ থেকে আলাদা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। সদ্যোজাত নিখোঁজ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। ওই শিশুর নাভির কাছে থাকা স্টিকারটি কোন হাসপাতালের, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁদের দাবি, পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে। এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু বলার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy