মেয়ের জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন পীযূষ দাস। নিজস্ব চিত্র।
গত তিন বছর ধরে ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটা তাঁর কাছে অন্য রকম। একমাত্র মেয়ে অথৈয়ের জন্মদিন বলে কথা! বারাসতের পাওনিয়ার পার্কে রাস্তার ধারে তাঁর ফুচকার স্টল। এই দিনে ক্রেতাদের বাড়তি ফুচকা খাইয়ে তাঁদের সঙ্গেই মেয়ের জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেন পীযূষ দাস। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার ১০ টাকায় ১৮টি ফুচকা খাইয়েছেন তিনি। সঙ্গে দিয়েছেন একটি করে মাস্ক।
পীযূষের অভিজ্ঞতা, দাম অনুযায়ী ফুচকা খাওয়ার পর অনেকেই ‘ফাউ’ হিসেবে এক আধটা ফুচকা খেতে চান। দিতেও হয়। আসলের থেকে সুদের মজাই যেন ওঁদের কাছে বেশি। তাই ঠিক করেছিলেন মেয়ের জন্মদিনে পীযূষ খরিদ্দারদের মনভরে ফুচকা খাওয়াবেন। বছরের অন্য দিন শুধু ৭টা ফুচকাই মেলে। কিন্তু মেয়ের জন্মদিনে গত বছর ১০ টাকায় ১৭ ফুচকা খাইয়েছিলেন পীযূষ। এ বছর একটা বাড়িয়ে করেছেন ১৮।
বারাসতের মধ্যবালুড়িয়ায় বাড়ি পীযূষের। শুক্রবার পাইওনিয়ার পার্কে রাস্তার ধারে নিজের ভ্রাম্যমান ফুচকার স্টলে বসে অভিনব আঙ্গিকে মেয়ের জন্মদিনকে করে তুললেন জনগণের উৎসব। ফুচকা খাওয়ানোর সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতাকে মিশিয়ে দিলেন। ফলে স্টলের সামনে ক্রেতাদের লাইন ক্রমেই দীর্ঘতর হয়ে চলে। মেয়ের জন্মদিনে লোকে লোকারণ্য। চাপ বেশি পড়লেও খুশি পীযূষ। ক্রেতারাও খুশি। লোকজনের ভিড় বাঁচিয়ে অথৈ ছিল বাড়িতেই। বাবা ছিলেন স্টলে। পীযূষের কথায়, ‘‘কত্ত মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে দিনশেষে মেয়ের কাছে ফিরেছি। আমি যেন এমন ভাবে অথৈয়ের জন্মদিনে মানুষের সঙ্গে থাকতে পারি প্রতি বছর।’’
খুশি তাঁরাও, যাঁরা লাইন দিয়ে ফুচকা কিনেছেন। বারাসতের বাসিন্দা সোনিয়া আইচের কথায়, ‘‘অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবারের ফুচকা একই রকমের সুস্বাদু। একসঙ্গে বেশি খাওয়াচ্ছেন বলে মানের কোনও হেরফের হয়নি।’’ নিয়মিত ওই স্টল থেকে ফুচকা খাওয়া তাপসী দত্ত বলেন, ‘‘মেয়ের জন্মদিনকে এত মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার এই উদ্যোগ আমার খুব ভাল লেগেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy