উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। নিজস্ব চিত্র।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় বাংলাদেশের একটি ট্রলার ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় জলসীমার মধ্যে। পরে সেই ট্রলারটি উল্টে যাওয়ায় সুন্দরবন উপকূলে বঙ্গোপসাগরে ভাসছিলেন ১১ জন মৎস্যজীবী। বেশ কিছু ক্ষণ পর দিঘা থেকে মাছ ধরতে আসা একটি ট্রলার ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে।
শুক্রবার ট্রলার ডুবির ঘটনাটি ঘটেছিল সুন্দরবনের বাগেরচরের পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরে। শনিবার উদ্ধার বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের নিয়ে আসা হয় রায়দিঘিতে। পরে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ট্রলারটির নাম ‘সাদিম ফিশ’।
মৎস্যজীবী সংগঠন কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের পটুয়াখালির মহিরপুর থানা এলাকা থেকে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওই ১১ জন। কিছু সমুদ্রে খারাপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হন তাঁরা। এক সময় ঢেউয়ের দাপটে আন্তর্জাতিক জলসীমানা পার করে ভারতে মধ্যে ঢুকে পড়ে সেই ট্রলার। সুন্দরবনের বাগেরচর থেকে কিছু দূরে ট্রলারটি ঢেউয়ের দাপটে ডুবে যায়। এর পর ১১ জন মৎস্যজীবীই সমুদ্রে ভেসেছিলেন প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সেই সময় ‘এফবি মালবিকা’ নামে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি ট্রলার তাঁদের উদ্ধার করে।
মৎস্যজীবী সংগঠন সাউথ সুন্দরবন ফিশারম্যান এবং ফিশ ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন-এর পক্ষ থেকে ১১ জন মৎস্যজীবীকে নিরাপদে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে। সংগঠনের সম্পাদক হারাধন ময়রা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা এখন সুস্থ রয়েছেন। তাঁদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন তাঁরা যেন নিরাপদে বাংলাদেশ ফিরতে পারেন।’’
অন্য দিকে, শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ডুবে গিয়েছিল ‘এফবি সত্যনারায়ণ’ কাকদ্বীপের নামের একটি ট্রলার। সেই ট্রলারের ১৮ জন মৎস্যজীবীকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতের মধ্যে ১৩ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু খোঁজ ছিল না পাঁচ জনের। শনিবার ভোরে কেঁদোদ্বীপের কাছে তাঁদের ভেসে থাকতে দেখা যায়। অন্য মৎস্যজীবীদের ট্রলার তাঁদের উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy