রোপণ: ইয়াসের পর মাতলা নদীর চরে লাগানো হচ্ছে ম্যানগ্রোভ, ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা গ্রামে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের পর গোটা সুন্দরবন জুড়ে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীর চড়ে ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের দাবি, যেখানে ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছিল, ইয়াসে সেই সমস্ত জায়গায় বাঁধের ক্ষতি হয়নি। এবছর তাই আরও পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, “যেখানে যেখানে আমরা গতবছর ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছিলাম, সেই সব জায়গায় নদীবাঁধ অক্ষত রয়েছে। তাই এ বছর আরও পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”
এবারও ঝড়ের পর এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে বৈঠক করে আরও বেশি ম্যানোগ্রোভ রোপনের কথা বলেছেন তিনি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছেন। এ কাজে সেচ দফতর ও মৎস্য দফতরকে সঙ্গে নেওয়া যায় কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতবার মূলত একশো দিনের কাজ প্রকল্পেই এই ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছিল সুন্দরবন জুড়ে। এবারও সেই পরিকল্পনাই নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। জেলার এমজিএনআরইজিএ দফতরের নোডাল অফিসার সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সুন্দরবনের মানুষই পারবেন সুন্দরবনকে বাঁচাতে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আমরা নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষদের নিয়েই ম্যানগ্রোভের প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু করেছি। সাফল্যও আসছে। তবে কী ভাবে আরও বেশি করে ম্যানগ্রোভ রোপণ করা যায় সেই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতর ৫০০ হেক্টর জায়গায়, সুন্দরবনের তেরোটি ব্লক এলাকার পঞ্চায়েতগুলি আরও ৫০০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ চারাগাছ তৈরি করেছে ইতিমধ্যেই। ও ২৪ পরগনা বনবিভাগের আওতাধীন দু’হাজার হেক্টর জমিতেও চারা তৈরি হয়েছে। আরও প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে নতুন করে ম্যানগ্রোভ চারা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy