ঘুরন্ত নাগরদোলা থেকে ছিটকে নীচে পড়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন উপকূলীয় থানার কুমিরমারি গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। পুলিশ গ্রেফতার করেছে নাগরদোলার মালিককে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কুমিরমারি গ্রামে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেই উপলক্ষে মেলা বসেছিল। দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসেছিল নাগরদোলাও। মঙ্গলবার কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে হইহই করতে নাগরদোলায় চড়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তনী মণ্ডল। কিন্তু নাগরদোলা ঘোরার কিছু ক্ষণের মধ্যে বিপত্তি ঘটে। নাগরদোলা থেকে ছিটকে পড়ে যায় সায়ন্তনী। থেমে যায় নাগারদোলা।
ঘাড়, মাথা-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে সায়ন্তনীর। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিরমারি থেকে স্পিড বোটে চাপিয়ে ধামাখালি নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালে না রেখে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
কিশোরীর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ কুমিরমারি এলাকা। নিহত সায়ন্তনীর বয়স মাত্র ১৭ বছর। কুমিরমারি হাই স্কুলের ছাত্রী ছিল সে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে এই দুর্ঘটনা হল স্পষ্ট নয়। ঘুরন্ত নাগরদোলায় কোনও বিপত্তি ঘটেছিল, না কি ছাত্রীটি ছবি তোলার চেষ্টা করে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তা জানা যায়নি। তবে এর মধ্যে অমল মণ্ডল নামে নাগরদোলার মালিককে গ্রেফতার করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। বস্তুত, দিন কয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে একটি মেলায় একই রকমের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে নাগরদোলা থেকে পড়ে আহত হন তিন জন।