চোলাই মদেরও ‘হোম ডেলিভারি’! সেই কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ল দুই মহিলা-সহ তিন জন।
মঙ্গলবার সকালে হাবরার মছলন্দপুর এলাকা থেকে তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১২০ লিটার চোলাই। পুলিশ জানিয়েছে, সুজাতা রায়, গৌরাঙ্গ রায় ও পুতুল বিশ্বাস নামে ওই তিন জন নিউ ব্যারাকপুরের লেনিনগড় ও ঘোলা থানার সাজিরহাট থেকে চোলাই এনে হাবরায় বিক্রি করত। কাঠের পোক্ত বাক্সে প্যাকিং করে সকালেই বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনে চোলাই আনা হয় বলে পুলিশ জানায়। বাদুরিয়া থানার বাগজোলা এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ ও সুজাতা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। পুতুলের বাড়ি নিউ ব্যারাকপুরের লেনিনগড়ে।
টেলিফোনে খাবার অর্ডার দিয়ে বাড়িতে বসে খান অনেকে। তেমনই চোলাইয়েরও এমন একটি হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা আছে হাবরায়। পুলিশ জানায়, সেই ভাবেই ব্যবসাই চালাচ্ছিল ওই তিন জন। নির্দিষ্ট একটি ফোন নম্বরে চোলাই চেয়ে পাঠালেই বাড়ি বসে পাওয়া যেত চোলাই। প্রতি লিটার চোলাই ৫০ টাকায় কিনে এনে প্লাস্টিকের ঠোঙায় ১০০-১৫০ গ্রাম চোলাই ভরে ১০ টাকা গুণলেই ক্রেতা ঘরে বসে পেয়ে যেত চোলাই। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, একশো লিটার চোলাই বিক্রি করে গৌরাঙ্গদের লাভ থাকত হাজার দেড়েক টাকা। পুলিশের ধরপাকড় এড়ানোর জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই এই ব্যবসায় মহিলাদের বেশি কাজে লাগানো হচ্ছে।
অন্য দিকে, এ দিনই বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকায় রবি দাস নামে এক বাংলা মদ বিক্রেতাকে জনতা পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তার বাড়ি কালীবাড়ি এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিকে আগেও এই কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তা গ্রাহ্য করেনি সে। ফোন আসলেই বাড়ি বাড়ি চোলাই পৌঁছে দিত সে। এ সবের প্রতিবাদে কিছু ক্ষণ বনগাঁ-চাকদহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় জনতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy