—প্রতীকী চিত্র।
নির্বাচনে ভাল ফল হওয়ার পরেও বাংলার আবাস যোজনায় এলাকার গরিব মানুষদের ঘর পাইয়ে দিতে পারেননি তাঁরা। ‘ভাল কাজ করতে না পারা’র দায় নিয়ে এবং দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কোচবিহারে তৃণমূলের ২১ জন পঞ্চায়েত সদস্য দল থেকে পদত্যাগ করলেন। পদত্যাগ করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির তিন সদস্যও।
২০২২ সালে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা। গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন বহু মানুষ। সম্প্রতি আবাস যোজনার যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তাঁদের নাম না থাকায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন বলে খবর তৃণমূল সূত্রে।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিরাজুল হকের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে সুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৫০ জনের নাম এসেছিল। কিন্তু বাংলা আবাস যোজনায় মাত্র ৪৪০ জনের নাম এসেছে। এর নেপথ্যে নেতৃত্বের গাফিলতি রয়েছে বলেই দাবি করেন সিরাজুল। তিনি বলেন, ‘‘ঝড়ে যাঁদের বাড়িঘর ভেঙেছে, তাঁরা যত ক্ষণ পর্যন্ত ঘর না পাবেন, তত ক্ষণ পর্যন্ত এলাকায় একটিও ঘর কেউ নেবেন না। ২১ জন পঞ্চায়েত সদস্য, তিন জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রত্যেকে তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছেন। জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আপাতত নির্দল হিসাবেই সকলে কাজ করবেন।’’
যদিও তাঁর কাছে কোনও পদত্যাগপত্র আসেনি বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও পদত্যাগপত্র এসে পৌঁছয়নি। পদত্যাগপত্র এসে পৌঁছলেও তা গ্রহণ করার কোনও প্রশ্নই আসে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy