মার খেলেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীরা। প্রতীকী ছবি।
হুকিংয়ের অভিযোগে জরিমানা করায় গ্রামবাসীদের হাতে মার খেলেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীরা। বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করে জনতা। অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে বোমা-গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালায় পুলিশ। দুই থানার ওসি, এক মহিলা পুলিশকর্মী এবং গ্রামবাসী-সহ জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ১ ব্লকের ন্যাজাট থানার সরবেড়িয়ার ঘটনা। সন্দেশখালির এসডিপিও নির্মল দাস জানান, অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড ইঞ্জিনিয়ারস অ্যাসোসিয়েশন ঘটনার নিন্দা করেছে। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি সরবেড়িয়ায় হুকিংয়ের অভিযোগ আসছিল। বুধবার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজার-সহ কয়েক জন কর্মী বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান গ্রামে। বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়। তা নিয়ে শুরু হয় দর কষাকষি। দু’পক্ষের বচসা বাধে। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা বিদ্যুৎ দফতরের অফিসার এবং কর্মীদের একটি ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মহম্মদ আসলাম হোসেন কয়েক জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন থানায়।
তাঁদের অন্যায় ভাবে জরিমানা করা হয়েছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বাসন্তী রোড অবরোধ শুরু করেন গ্রামের মানুষ। বেলা ১২টার পরেও অবরোধ ওঠেনি। ঘটনাস্থলে আসেন ন্যাজাট থানার ওসি। পুলিশকে আক্রমণ করে জনতা। স্থানীয় এসডিপিও, হাড়োয়া থানার ওসিও বাহিনী নিয়ে পৌঁছন। গ্রামবাসীদের দিক থেকে ইট-পাটকেল, গুলি-বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ সুপার জবি থমাস কে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর গাজি, স্বপন মণ্ডল, রুকশনা বিবিদের দাবি, ভোল্টেজ খুবই কম থাকে সন্ধের দিকে। অনেক সময়ে আলো জ্বলে না। পাখা ঘুরলেও গায়ে হাওয়া লাগে না। ঘন ঘন লোডশেডিং হয়। তার পরেও দিন দিন বিদ্যুতের বিল বাড়ছে। এতে গ্রামের দরিদ্র মানুষ ক্ষুব্ধ। তার উপরে হুকিংয়ের অভিযোগ তুলে জরিমানা করায় গ্রামের মানুষ খেপে ওঠেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy