Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
বিচার বিশ্ববিদ্যালয়

তছরুপ নিয়ে তদন্তে প্রাক্তন বিচারপতি

কলকাতার ‘ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস’ বা জাতীয় বিচার বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক গোলমালের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করিয়ে চার্জশিট দিয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের নিযুক্ত কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ওই অভিযোগের তদন্ত করবেন এবং উপাচার্য কোনও ভাবেই সেই তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই নির্দেশ দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৫৮
Share: Save:

কলকাতার ‘ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস’ বা জাতীয় বিচার বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক গোলমালের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করিয়ে চার্জশিট দিয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের নিযুক্ত কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ওই অভিযোগের তদন্ত করবেন এবং উপাচার্য কোনও ভাবেই সেই তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই নির্দেশ দিয়েছেন।

কয়েক মাস ধরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্টিরিয়র ডেকরেটিং’ বা অন্তরসজ্জার কাজ চলছে। উপাচার্য গত এপ্রিলে রেজিস্ট্রার সুরজিৎচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সেই কাজের তহবিল তছরুপের অভিযোগ তোলেন। রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে কাজে অমনোযোগেরও অভিযোগ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, উপাচার্য ঈশ্বর ভট্ট নিজেই আপাতত সেই কাজের তদারক করছেন। ওই সূত্রেই জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি-কে না-জানিয়ে রেজিস্ট্রারকে ‘শো-কজ’ বা কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এমনকী ওই কাউন্সিলকে না-জানিয়েই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নিজের পছন্দমতো লোককে দিয়ে তদন্ত করিয়ে চার্জশিট দেন উপাচার্য।

রেজিস্ট্রার সুরজিৎবাবু জানান, গত ২৮ অগস্ট তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি দত্তের আদালতে এ দিন ওই মামলার শুনানি ছিল। রেজিস্ট্রারের আইনজীবী কিশোর দত্ত আদালতে জানান, তহবিল পরিচালনার ভার উপাচার্যের। ওই তহবিল রেজিস্ট্রার পরিচালনা করেন না। রেজিস্ট্রারকে অবৈধ ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

বিচারপতি দত্ত নির্দেশ দেন, আদালত নিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত এক জন বিচারপতি ওই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ওঠা তহবিল গরমিলের অভিযোগের তদন্ত করবেন। সেই তদন্ত শুরু হবে ১৪ অক্টোবর। তা শেষ করতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে। ওই তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy