বিয়ের পরিকল্পনায় সব দিকেই খুঁটিনাটিতে নজর দিচ্ছেন। তা হলে নিমন্ত্রণ পত্রে কোনও রকম ত্রুটি জায়গা পাবে কেন? জানেন কি, বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্র কেমন হবে তার পিছনেও রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রের রীতি? সে রকমই কিছু তথ্য তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
- বর্তমানে চিরাচরিত আয়তাকার বা বর্গাকার নিমন্ত্রণ পত্রের বাইরে ত্রিকোণ আকারের নিমন্ত্রণ পত্র দেখা যায়। তবে বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পত্র মঙ্গলজনক নয়। তাঁরা চিরাচরিত আকারের নিমন্ত্রণ পত্রেরই পরামর্শ দেন।
- সাম্প্রতিক কালে নিমন্ত্রণ পত্রে পাত্রপাত্রীর ছবি দেওয়ার চল রয়েছে। তবে বাস্তু মতে এটি অশুভ কিন্তু। তা ছাড়া বিয়ে মিটে যাওয়ার পর তা যত্র তত্র ফেলে দেওয়া হয়। ফলে সেই ছবি অনেকে অসাধু উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন।
- কালো বা ধূসর রং বিয়ের ক্ষেত্রে খুবই অশুভ বলে গণ্য করা হয়। তাই কোনও অবস্থাতেই নিমন্ত্রণ পত্রে এই রং ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে বিবাহিত জীবনে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- হিন্দু ধর্ম মতে স্বস্তিক চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম। শুভ কাজে স্বস্তিক চিহ্ন অমঙ্গলকে দূরে রাখে। তাই নিমন্ত্রণ পত্রে অবশ্যই ব্যবহার করুন এই চিহ্ন।
- নিমন্ত্রণ পত্রে অনেকে গণেশের ছবি ব্যবহার করেন। তবে খেয়াল রাখবেন, নৃত্যরত গণেশের ছবি যেন না থাকে। যে কোনও দেবদেবীর নৃত্যরত ছবি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে জানাচ্ছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।
- বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রে কোনও ভাবেই রাধাকৃষ্ণের ছবি রাখবেন না। কারণ রাধাকৃষ্ণ প্রেমের প্রতীক হলেও তাঁদের জীবন ছিল বিরহ যন্ত্রণায় ভরা।
- লাল অথবা মেরুন রং ব্যবহার করুন আমন্ত্রণপত্রে। কারণ বিয়ের ক্ষেত্রে এই দু’টি রং অত্যন্ত শুভ। তবে চাইলে অন্য রংও ব্যবহার করতে পারেন।
- সুগন্ধি কাগজ ব্যবহার করতে পারেন। চন্দন, গোলাপ, জুঁই ফুলের গন্ধ অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।