বিয়ের নেপথ্যে থাকে কয়েক মাসের প্রস্তুতি, আয়োজন। তবে সবচেয়ে প্রথম কাজ হল বিয়ের তারিখ ঠিক করে ফেলা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বিয়ের তারিখ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
- পাত্র ও কন্যার মা-বাবার যে মাসে বিয়ে হয়েছিল, সেই মাসে বিয়ে এড়িয়ে চলাই ভাল। জ্যোতিষ মতে, মা-বাবার বিয়ের মাসে বিয়ে হলে সেই দাম্পত্য সুখের হয় না। ইংরেজি ও বাংলা দু’টি মাসই গুরুত্বপূর্ণ এ ক্ষেত্রে।
- বাড়ির বড় সন্তানের বিয়ে যেন জ্যৈষ্ঠ মাসে না করা হয়। কারণ, জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী জ্যেষ্ঠের বিয়ে কখনওই জ্যৈষ্ঠ মাসে করা উচিত নয়। এতে বাড়ির অকল্যাণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- গ্রহণের সময় বা দিন অশুভ মনে করা হয়। তাই সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ রয়েছে, এমন সময়ের আশেপাশে বিয়ে ঠিক করা উচিত নয়। এমনকি অষ্টমঙ্গলা বা দ্বিরাগমনও যেন গ্রহণের আশেপাশে না পড়ে, সে দিকে নজর রাখতে হবে।
- বলা হয়, ভাদ্র ও চৈত্র মাসে বিয়ে সম্পর্কিত কোনও কাজে এগিয়ে যাওয়া ভাল নয়। খারাপ ফল হয় এতে। এ ছাড়াও বিয়ের পাকা কথা বলতে যাওয়ার সময়ে সঙ্গে গণেশ মূর্তি রাখা উচিত নয়। তা শুভ ফল দেয় না।
- নক্ষত্রের দিকটিও মাথায় রাখা প্রয়োজন। তারিখ ঠিক করার সময়ে লক্ষ্য রাখতে হবে পূর্বা, ফাল্গুনী বা পুষ্যা নক্ষত্র যেন না পড়ে। কারণ জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, এই নক্ষত্রে বিয়ে হলে বন্ধন অটুট হয় না বলে ধরা হয়। তাই দাম্পত্য সুখ বজায় রাখতে হলে এই নক্ষত্রে একেবারেই বিয়ে স্থির করা উচিত নয়।
- অন্য দিকে বৃহস্পতি ও শুক্রে দি গোচর থাকে। আর ‘তারা অস্ত’ থাকে। তাই এই লগ্নে বিয়ে দেওয়া নৈব নৈব চ। অবশ্যই তাই তিথি দেখে বিয়ে স্থির করা প্রয়োজন।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।