ভিকি-ক্যাটরিনার বিয়ের আমন্ত্রণপত্র
বিবাহ অভিযানের প্রথম এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়— বিয়ের আমন্ত্রণপত্র। অতিথি নিমন্ত্রণ করা থেকে পাত্র-পাত্রীর যাবতীয় খুঁটিনাটি, বিয়ের সময় থেকে বিয়ের স্থান-কাল-পাত্র, এই সব এক ঝলকে জেনে নেওয়ার আসল ঠিকানাই হল এই বিয়ের কার্ড। অনেক সময়েই বিয়ের এলাহি আয়োজন করতে গিয়ে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির দিকে কম নজর দিয়ে ফেলি। অথচ বিয়েতে নিমন্ত্রিতদের প্রাথমিক পর্যায়ে নজর কাড়়ার সঙ্গী এটিই। তাই অবশ্যই আমন্ত্রণপত্র বাছাইয়ের আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
১. কার্ডের সংখ্যা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা নিশ্চিত করা। প্রথমেই নিমন্ত্রিতদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে নিন। সেই অনুযায়ী মোট কতগুলি বিয়ের কার্ড লাগবে, তার একটি ধারণা পাওয়া সহজ হবে। বর্তমানে আত্মীয় পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবদের বাড়ি গিয়ে নিমন্ত্রণের পাশাপাশি অনলাইন নিমন্ত্রণের চল বেড়েছে। যাঁরা অনেকটা দূরে থাকেন, তাঁদের ইমেল বা হোয়াটস্অ্যাপ মারফৎ বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দিলেই নিমন্ত্রণ পর্ব মিটে যায়। তাই নিমন্ত্রিতদের তালিকা প্রস্তুত করার সময় দু’টো আলাদা তালিকা করে নেওয়াই ভাল। একটি অনলাইনে পাঠানো আমন্ত্রণের তালিকা এবং অন্যটি নিজে গিয়ে চিঠি দিয়ে নিমন্ত্রণ করে আসা অতিথিদের সংখ্যা। সব সময়েই অতিরিক্ত কিছু আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে রাখতে হবে। অনেক সময় কোনও ভুলত্রুটি বার হলে অথবা অতিথিদের নাম ভুল লিখলে সেই বাড়তি কার্ড কাজে লাগতে পারে।
২. ব্যয় নির্ধারণ
সংখ্যা ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেই খরচের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। যদি বাজারচলতি আমন্ত্রণপত্র কিনে তাতে নিজের বক্তব্য ছাপাতে চান, তা হলে সেই বাবদ যা ব্যয় হবে তার তুলনায় নিজের পছন্দের নকশা, কারুকাজ সহ কার্ড বানাতে গেলে খরচের পরিমান একটু বেশিই হওয়ার সম্ভাবনা। তবে খরচ বেশি হলেও নিজস্ব রুচি অনুযায়ী তৈরি করা আমন্ত্রণপত্র হবে অনেক বেশি প্রশংসনীয়।
৩. পত্রের কারুকাজ
দোকানে গিয়ে হঠাৎ বাছাই শুরু করার আগে নেটমাধ্যমে একটু গবেষণা করে নিলে কিন্তু মন্দ হয় না। কার্ড কিনতে যাওয়ার আগে ভেবে রাখুন আপনি কী ধরনের আমন্ত্রণপত্র চান। সাবেকি আদলে নকশা পছন্দ? নাকি আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিমন্ত্রণেও অন্য স্বাদ আনতে চাইছেন? সই আগে যতটা সম্ভব ভেবে নিয়ে, তার পরই কিনতে যাওয়া উচিত।
৪. নিমন্ত্রণের খসড়া
আমন্ত্রণপত্রে কী লেখা হবে, আগে থেকে তার একটি খসড়া তৈরি করে রাখুন। শুদ্ধ বাংলায় এবং ইংরেজি, দু’টিই লিখে নিয়ে যান। তবে এই ক্ষেত্রে বানানের বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভাষায় দক্ষ এমন কাউকে দেখিয়ে নিন। এক বার ছাপা হয়ে গেলে পরে ঠিক করতে সমস্যা তৈরি হবে। সঙ্গে বাড়বে খরচ। তাই বিয়ের খুঁটিনাটি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ভাল করে খুঁটিয়ে দেখে নিয়ে তার পরেই আমন্ত্রণপত্র ছাপাতে দিন।
৫. অনুষ্ঠান বাড়ির পথ নির্দেশ
অনুষ্ঠানে সকলে কী ভাবে পৌঁছবেন তা স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া প্রয়োজন। তাই বিয়ের কার্ডে পথ নির্দেশিকা কিংবা যেখানে বিয়ে হচ্ছে তার কাছাকাছি বাস স্টপ, মেট্রো, রেলওয়ে স্টেশন সহ অন্যান্য ল্যান্ডমার্ক দিয়ে দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ ছাড়াও একই সঙ্গে দরকারে ফোন করা যাবে এমন কারও নম্বরও দিয়ে দেবেন। যদি কেউ খুঁজে না পান, তা হলে ওই নম্বরে যেন তিনি ফোন করে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন।
৬. এলাহি আমন্ত্রণপত্র
বাজেট বেশি হলে আপনার আমন্ত্রণপত্র আরও এলাহি হতে পারে। কেউ কেউ কার্ডের পাশাপাশি মিষ্টি পাঠিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ছোটোখাটো উপহারের ডালিও সাজিয়ে পাঠান। তাতে ড্রাই ফ্রুট থাকতে পারে। অফিসের সহকর্মী বা বসদের নিমন্ত্রণ করার জন্য আলাদা কার্ড করতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে শ্যাম্পেন বা খুব দামি চকোলেট। বিরাট কোহলী-অনুষ্কা শর্মা অবশ্য এ সবের বাইরে গিয়ে আমন্ত্রণপত্রের পাশাপাশি একটি চারাগাছ পাঠিয়েছিলেন সকল আমন্ত্রিতদের। এমন পরিবেশবান্ধব সুন্দর ভাবনা থেকে চমকে গিয়েছিলেন সকলে। আপনার যদি বাজেট বেশি হয়, আপনিও এই ধরনের কোনও পথে হাঁটতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy