সৌজন্যে: পিক্সাবে
বিগত প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আমরা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ শব্দবন্ধটির সঙ্গে পরিচিত। করোনার দাপটে অফিস এখন বাড়িতেই। যার ফলে কাজের চাপও বেড়েছে আগের তুলনায় বেশ খানিকটা। ঘর ও বাইরের কাজ সমান তালে সামলে উঠতে না পেরে নাজেহাল অবস্থা অনেকেরই। অথচ সামনেই বিয়ের মরসুম। আপনার বিয়ে। শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে প্রস্তুতি। কিন্তু বাড়িতে অফিসের কাজ সামলে বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া তো বেশ ঝক্কির। তাই সমস্ত কিছু সামলে কী ভাবে অফিসের পাশাপাশি বিয়েরজন্য প্রস্তুতি নেবেন তার জন্য রইল কিছু পরামর্শ।
প্রথমত,বাড়িতেই একটি নির্দিষ্ট কাজের জায়গা তৈরি করুন। কাজের সেই নির্দিষ্ট জায়গার সঙ্গে কাজের সময় এবং ব্যক্তিগত সময়ের পার্থক্য রাখা উচিত। আজকাল অনেকেই বাড়িতে বসে কাজ করছেন বলে, নির্দিষ্ট কোনও সময়ের দিকে লক্ষ রাখেন না। মনে হয় যেন,তাঁরা সব সময়েই কাজ করছেন। আর সেই কারণেই বাড়িতে কাজের জায়গা আলাদা হলে, এক বার কাজ শেষ হওয়ার পরে আর কাজের সেই জায়গা বা সেই টেবিলের দিকে না যাওয়াই ভাল। কাজ শেষের পরে দিনের বাকি সময় জুড়ে বিয়ের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করুন।
দ্বিতীয়ত,কাজ করার সময়ে মাঝে মধ্যে বিরতি নিতে ভুলবেন না যেন। সামনেই বিয়ে। এই সময় আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাজের মাঝে নিজের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য দু’ঘণ্টা অন্তর অন্তত ১০ মিনিটের বিরতি নিন। যে সময়টা বিরতি নিচ্ছেন, বিয়ের ছোট ছোট কাজের পরিকল্পনাগুলি সেরে ফেলুন সেই সময়। নিমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে শুরু করে প্রণামীর তালিকা, সমস্তটাই সেরে নিতে পারেন সেই সময়।
তৃতীয়ত,সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে না নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে দায়িত্বগুলি ভাগ করে নিন। পরিবারের সকলের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিলে আপনার অনেকটা দায়িত্বও কমবে এবং পাশাপাশি সব কাজই অনেক সহজেই কম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
চতুর্থত,একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করুন। অফিসের কাজ এবং বিয়ের প্রস্তুতি সঠিকভাবে নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কাজের বাইরে কাজের সময় বাড়ানো উচিত না। আর সেই কারণেই সঠিক সময় কাজ শুরু করা প্রয়োজন। তা না হলে আপনার কাজ শেষের সময়টাও বেড়ে যাবে এবং তার পরবর্তী কাজগুলিও আর সময়মতো হবে না। অফিসের কাজের সঙ্গে ব্যক্তিগত সময়ের ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারলেই বিয়ের পরিকল্পনা করতে আর কোনও সমস্যা হবে না।
পঞ্চমত,প্রতিটি কাজের জন্য আগে থেকেই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারন করুন। নিজেকে সময়ের মধ্যে বেঁধে ফেলা একটু অসুবিধা হলেও দিনের শেষে সব কাজ সঠিক সময় শেষ হওয়ার পাশাপাশি বিয়ের পরিকল্পনাও করতেও বেশ সুবিধাই হবে।
মনে রাখবেন সঠিক সময় মেনে সঠিক পরিকল্পনাই হল ভারসাম্যের আসল চাবিকাঠি। এতে সুষ্ঠভাবে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি মানসিক শান্তি ও সু-স্বাস্থ্যও বজায় থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy