তরুণীর কোলে পুতুল। —ছবি: সংগৃহীত।
মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার ইচ্ছা আট বছর বয়স থেকেই। সন্তান কী ভাবে পালন করবেন তা নিয়ে নানা রকম স্বপ্ন বুনতেন তিনি। কিন্তু সন্তান পালনের জন্য অর্থও চাই। তাই পুতুলকেই সন্তানের মতো পালন করতে শুরু করেন তিনি। প্রতি দিন তাদের দুধ পান করান, জলখাবার বানিয়ে দেন। নিয়ম করে জামাকাপড়ও বদলে দেন পুতুলদের। রেস্তরাঁ অথবা শপিং মলে সেই পুতুলগুলিই হয় তরুণীর সঙ্গী। দত্তক নেওয়ার আগে এ ভাবেই তিনি মাতৃত্ব অনুভব করছেন বলে দাবি করেন তরুণী।
নিউ ইয়র্কের লং দ্বীপের বাসিন্দা কেলি হোয়াইট। ২৮ বছর বয়সের এই তরুণী পেশায় নেটপ্রভাবী। নানা ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করে উপার্জন করেন কেলি। আট বছর বয়স থেকেই মা হওয়ার ইচ্ছা তাঁর। বিয়ে করেননি তিনি। সন্তান দত্তক নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন কেলি।
কিন্তু স্থায়ী চাকরি করেন না তিনি। আর্থিক ভাবে তেমন মজবুতও নন। তাই পুতুল কিনে তাদেরই সন্তানের মতো পালন করেন কেলি। ‘এলডব্লিউএনএস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেলি জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে জন্মদিন উপলক্ষে একটি পুতুল কিনে নিজেকে উপহার দিয়েছিলেন কেলি। পুতুলের নাম রাখেন জেনিফার। পুতুলটি লম্বায় ৩৯ ইঞ্চি। কেলি তাঁর শোওয়ার ঘরেই বিছানা করে দেয় জেনিফারের।
জেনিফারকে সন্তানের মতো ভালবাসতে শুরু করেন কেলি। তার পর আট-আটটি পুতুল কিনে ফেলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে কেলি জানান, তার পুতুলগুলির নাম যথাক্রমে সামার, মলি, অ্যান্টনি, অ্যাশলি, এলিজাবেথ, মাইকেল এবং অ্যাডাম। তাদের মধ্যে মলি এবং অ্যান্টনি যমজ। চলতি মাসেই আরও একটি পুতুল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেলি। পুতুলটির নাম রাখবেন এমিলি।
কেলি বলেন, ‘‘আমি ওদেরকে নিজের সন্তানই ভাবি। ওদের আলাদা বিছানা রয়েছে। অ্যাডাম এবং জেনিফার আমার শোওয়ার ঘরে থাকে। বাকিরা থাকে বসার ঘরে। ওদের জন্য আমি জলখাবার বানাই। ময়দার সঙ্গে জল মিশিয়ে দুধ তৈরি করে ওদের পান করাই। বাইরে গেলে ওদের নিয়ে যাই। কিন্তু আশপাশের লোকজন আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকেন। হয়তো ভাবেন যে, এত বড় হওয়ার পরেও আমি পুতুল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি কেন? এখন মাঝেমধ্যে তাই ওদের বাড়িতে রেখেই বাইরে ঘুরতে যাই।’’ পুতুলগুলির জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছেন কেলি। তিনি আরও জানান, চাকরি পেয়ে একটু থিতু হলেই দত্তক নেবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy