Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Viral News

‘তুমি বাবা-মায়ের আসল সন্তান তো?’ সহকর্মীদের মশকরায় ডিএনএ পরীক্ষা করিয়ে চমকে গেলেন তরুণী

বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনও দিনই তাঁর মুখের মিল ছিল না। তবে এই বিষয়টি নিয়ে তাঁর সহকর্মীরা মশকরা শুরু করলে তরুণীর মনে প্রশ্ন দানা বাঁধে।

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:২২
Share: Save:

তরুণীর মুখের সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের মুখের কোনও মিল নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও যে কয়েকটি শারীরিক গঠনের সাদৃশ্য রয়েছে, তা-ও ফুটে ওঠে না তরুণীর চোখেমুখে। এক নজরে দেখলেই মনে হয় যে, একেবারে অন্য দেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। এই সব নিয়েই দিনের পর দিন তরুণীর সঙ্গে মশকরা করতেন সহকর্মীরা। একটানা সে সব শুনে সন্দেহ দানা বাঁধে তরুণীর মনে। ডিএনএ পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফলাফল দেখে চমকে যান তিনি।

তরুণীর নাম ডং। উত্তর চিনের শিনজ়িয়াঙের হেনান প্রদেশের বাসিন্দা তিনি। ছোটবেলা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে সেখানেই রয়েছেন তিনি। বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনও দিনই তাঁর মুখের মিল ছিল না। তবে এই বিষয়টি নিয়ে তাঁর সহকর্মীরা মশকরা শুরু করলে তরুণীর মনে প্রশ্ন দানা বাঁধে। ডং-কে তাঁর সহকর্মীরা বলেছিলেন, ‘‘তুমি কি আদৌ তোমার বাবা-মায়ের সন্তান? তোমার মুখের গড়ন দেখে মনে হয় না যে তুমি এই এলাকার বাসিন্দা। তোমার ঠোঁট স্ফীত, চোখগুলো গোল গোল, নাকও চওড়া। আমরা যাঁরা এখানকার স্থানীয়, তাঁদের সঙ্গেও সাদৃশ্য নেই তোমার মুখের গড়নের।’’ তা শুনে সন্দেহ হয়েছিল তরুণীর।

বাবা-মাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেও কোনও উত্তর পাননি তরুণী। তাই কাউকে না জানিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছিলেন ডং। পরীক্ষার ফলাফল দেখে চমকে ওঠেন তিনি। ডং জানতে পারেন, হেনান প্রদেশে তাঁর জন্ম হয়নি। তাঁর আসল বাবা-মা আদতে দক্ষিণ চিনের গুয়াংশি প্রদেশের বাসিন্দা। তাই সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে মিল রয়েছে ডংয়ের।

এই ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান ডং। পরবর্তী কী পদক্ষেপ করবেন তা নিয়ে নেটব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পরামর্শও চান তিনি। সেই সময় ডংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কুই নামের এক প্রৌঢ়া। গুয়াংশি প্রদেশের বাসিন্দা তিনি। কুই দাবি করেন, ড‌ংয়ের মা নাকি তিনি। যদিও এখনও তা প্রমাণ করতে পারেননি কুই।

অন্য বিষয়গুলি:

Viral News China DNA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE